পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের ২৩ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শাহ আলী, পল্লবী, কাফরুল ও তেজগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রতারকচক্রের সদস্যরা চাকরি দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তাসলিমা সুলতানা, সায়মা ইসলাম, মৌসুমী আক্তার, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. রাকিব হোসেন, সুমনা খাতুন, মো. সোহেল ফরাজি, মোছা. শামীমা আক্তার, মো. কামরুজ্জামান, মো. মশিউর রহমান, মোছা. সোহাগ, মো. রুবেল, মোছা. মমতাজ নায়রী, মোছা. শাহীনূর আক্তার, মো. আব্দুল হামিদ, মো. আব্দুল জব্বার, গাজিউর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মাহামুদা খাতুন, মাসুম কবির, মো. ফরিদ ইমরান, এনামুল হক ও মাহমুদা খাতুন।
তাদের মধ্যে ৫ জনকে শাহ আলী থানাধীন ‘লাইফ গার্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপ্লাই লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০টি জীবন বৃত্তান্ত ফরম, ১৫টি চাকরির আবেদন ফরম বই, ৪টি রেজিস্টার, ৪টি সীল মোহর, ৭টি মোবাইল ফোন, ২০০টি ভিজিটিং কার্ড এবং সাড়ে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া পল্লবী এলাকায় ‘বিজবন্ড আইটি লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০টি টাকা প্রাপ্তি রশিদ, ৩০০টি ভর্তি ফরম, ৬৫টি অঙ্গীকারনামা, ৭০টি চাকরির নিয়োগ ফরম, ২০০টি কমিশন ভাউচার, ৭টি রেজিষ্টার, একটি প্যাড এবং ৪টি মানি রিসিট উদ্ধার করা হয়।
কাফরুল শাহ আলী প্লাজায় ‘ডিজিট-৪ সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০টি প্রচারপত্র, ৫টি আইডি কার্ড, ১০টি মনোগ্রাম এবং ৪০টি ভর্তি ফরম উদ্ধার করা হয়। তেজগাঁও ‘বিজবন্ড আইটি লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি টাকা প্রাপ্তির রশিদ, একটি ভর্তি ফরম বই, ৫টি চুক্তিপত্র, একটি সীল, ৫০টি ভিজিটিং কার্ড, ৪৫টি আইডি কার্ড, ১৫টি জীবন বৃত্তান্ত এবং ১৫টি কমিশন ভাউচার উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। তারা রাজধানীসহ দেশের ভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে বেনামে ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান খুলে। পরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মধ্যশিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যুবক ও যুবতীদের আকর্ষণীয় এবং উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আদায় ও ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়। এভাবে তারা ইতোমধ্যে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।