পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক নৌকায় পা দেয়ার কারণে সরকার যে কোন সময় পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক অদ্ভূত রাষ্ট্র, যে দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে, আবার ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে। একই সংবিধানে গণতন্ত্রও আছে, সমাজতন্ত্রও আছে। একই সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আছে, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদও আছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য সব ব্যাপারে ক¤েপ্রামাইজ করা। বলে না যে, দুই নৌকায় পা দিলে ডুবে যেতে হয়। এই সরকার তো দুই নৌকায় নয়, অনেক নৌকায় পা দিয়ে বসে আছে আর কি। যে কোনো সময়ে পড়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী এবং মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এএইচএম কামারুজ্জামান খানের স্মরণে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম বলেন, একেবারে সাধারণ একটা প্রবাদ বলে যে, সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে নাই। অর্থাৎ কিকল্প রাখতে হয় সব ব্যাপারে। এই কোভিডে মাস্ক, পিপিই ইত্যাদি নিয়ে, কী নিয়ে কেলেঙ্কারি হয় নাই বাংলাদেশে? দেখেন চাল, ডাল, তেল, নুনই বলেন, ভোটই বলেন, তারপরে দেশের বৈদেশিক নীতি বলেন, শাসনতন্ত্র বলেন- কী নিয়ে হয় নাই? দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে একদিন আন্দোলন করবে এই বিশ্বাস রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মানুষের মধ্যে কষ্ট এত বেশি, মানুষের প্রতিবাদ এত সত্য, এত তীব্র যে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। নিশ্চয় আন্দোলন হবে এবং সেই আন্দোলনের মুখে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা দুর্নীতি-অনাচার করে জনগণকে কষ্ট দিয়েছে, তাদেরই পতন হবে। আর সেই আন্দোলনের জন্য ২০ দলীয় জোটকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান নজরুল।
তিনি বলেন, ২০ দলে সে নিয়ে আলোচনা হতে হবে। আমি যখন অন্যের কথা বলব, তার আগে আমার নিজের কথা বলতে হবে আর কি। আমি নিজে আমার দায়িত্ব বা আমার ভূমিকা ঠিকমত পালন করছি কিনা। আমরা যদি যার যার দায়িত্ব বা যার যার ভূমিকা ঠিকমত পালন করি, তাহলে আমাদের দায়িত্ব আর ভূমিকাও ঠিকমত পালন হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যে নীতি ও আদর্শের ওপর ভিত্তি করে আমরা এই জোটটা গঠন করেছি- গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা, সেটার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে একটাই- সেটা হলো মানসিক প্রস্তুতি নিন। জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণের দায়িত্ব আমাদের ওপর। আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা যারা জনগণের ক্ষমতার প্রতি আস্থাশীল, আমরা যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, আমাদেরই উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।
জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পরিচালনায় জামায়াতে ইসলামীর মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, খেলাফত মজলিশের প্রফেসর আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির কারী আবু তাহের, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মুনির হোসেন কাশেমী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমীন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাসেম, এলডিপির এম এ বাশার, সাম্যবাদী দলের কাজী কামাল আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।