নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসির একটা টুইটার পোল, এতে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে হারিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ফলাও করে খবর প্রচার করছে, টুইটারে ‘ভারতকে কাঁপিয়ে দিল পাকিস্তান’ ট্রেন্ডও চালু হয়ে গেছে। আর পাকিস্তানের এক মন্ত্রী তো রীতিমতো টুইটে ইমরান খানকে অভিনন্দনও জানিয়ে বসেছেন এই ‘বিশাল’ জয়ের জন্য! গতকাল আইসিসির টুইটার অ্যাকাউন্টে একটা পোল দেওয়া হয়েছে। চারজন খেলোয়াড়ের নাম তারা দিয়ে টুইটটা করেছিল- তাঁদের মধ্যে কাকে সেরা মনে করেন? তুলনাটা আসলে ছিল চার অধিনায়কের মধ্যে। আইসিসি এখানে হিসাবে নিয়েছে এমন চারজনকে, অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর টেস্টে যাঁদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হয়েছে।
চারজনই কিংবদন্তি। দুজনের নাম তো জেনেই গেলেন, ইমরান ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন পাকিস্তানকে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতিয়ে। কোহলি এখনো খেলছেন, তবে এত দিনে যা করেছেন, তাতেই ভারত অধিনায়কও খেলা ছাড়ার পর কিংবদন্তিদের সারিতে বসার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছেন। ইমরান ও কোহলির বাইরে অন্য দুজন হলেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের দলের বর্তমান অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার ‘৩৬০ ডিগ্রি’ ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স।
কোহলির অধিনায়ক হওয়ার আগে ব্যাট হাতে রান করতেন ৫১.২৯ গড়ে, অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ৭৩.৮৮ গড়ে। ইমরান তো অলরাউন্ডার ছিলেন, অধিনায়কত্বের বাইরেও অলরাউন্ডারদের তালিকায়ও ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতমদের তালিকায় তার নাম আসে সব সময়। অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ব্যাট হাতে তার গড় ছিল ২৫.৪৩, বল হাতে ২৫.৫৩। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পাকিস্তান কিংবদন্তির দুই দিকেই উন্নতি—ব্যাট হাতে গড় বেড়ে হয়েছে ৫২.৩৪, বল হাতে কমে হয়েছে ২০.২৬।
ভোট দিয়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। তাতে কোহলিকে হারিয়ে দিয়েছেন ইমরান। কোহলি ভোট পেয়েছেন ৪৬.২ শতাংশ, ইমরান পেয়েছেন ৪৭.৩ শতাংশ। ডি ভিলিয়ার্সের ভোট ৬ শতাংশ আর ল্যানিং পেয়েছেন ০.৫ শতাংশ। বেশ ‘টানটান’ উত্তেজনা অবশ্য হয়েছে বটে। ভোট শেষ হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগ পর্যন্তও ইমরান-কোহলি ছিলেন ৪৭ শতাংশ ভোটে সমতায়। শেষ পর্যন্ত ইমরান জিততেই পাকিস্তানের টুইটার ব্যবহারকারীরা টুইটারে শুরু করেছেন বিজয়োল্লাস।
‘পাকিস্তান শকস ইন্ডিয়া’ হ্যাশট্যাগে মুহাম্মদ আবরার নামের একজন লিখেছেন, ‘কোহলি নিঃসন্দেহে দারুণ খেলোয়াড় ও অধিনায়ক। কিন্তু কিংবদন্তি ইমরান খানের সমান হতে তাঁকে আরেকবার জন্ম নিতে হবে।’ আলিশবা নামের একজন লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শ যাঁর যেমনই হোক, এটা পুরো জাতির জন্যই একটি গর্বের মুহূর্ত হওয়া উচিত।’ উমর ফারুক নামের একজন লিখেছেন, ‘ক্রিকেট ও খেলার মাঠ থেকে অবসরের ২৯ বছর পরও ইমরান খান এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়।’
তা সমর্থকদের আবেগে তো যুক্তি মানে না। তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেই পারেন। যে কারণে, ‘ইমরান খান’, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অভিনন্দন’ নামের আরও টুইটার ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে। কিন্তু আইসিসির টুইটারের একটা পোল নিয়ে এতটা উচ্ছ্বাস একজন পাকিস্তানি মন্ত্রীও দেখাবেন, এটি হয়তো একটু বিস্ময়করই। পাকিস্তানের আবহাওয়াবিষয়ক মন্ত্রী জারতাজ গুল ওয়াজির টুইটারে ইমরানকে ট্যাগ করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘আইসিসির এই বিশাল পোলে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অভিনন্দন।’ এখনও ইমরান খানের কিংবদন্তিতুল্য অর্জন কতটা মহিমান্বিত তা এই টুইটার পোলেই প্রমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।