পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক মন্ত্রী ও এমপি খালেদুর রহমান টিটো ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬। যশোরের রাজনীতি ও সামাজিকতায় তিনি ছিলেন উজ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুতে যশোরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খালেদুর রহমান টিটো যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী সর্বোপরি রাজনৈতিক ও সামাজিক শীর্ষ নেতা ছিলে। তার রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ফুসফুসে ইনফেকশনজনিত কারণে ৩ দিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার ছেলে মানুক হাসান জয় জানান, অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাকে নিজবাসভবন যশোর শষহরের ষষ্টিতলায় আনা হয়। সেখানে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ছুটে যান।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খালেদুর রহমান টিটো ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান। মাতা মরহুম করিমা খাতুন। সাত ভাইবোনের মধ্যে টিটো দ্বিতীয় স্থানে। বড় ভাই মাসুকুর রহমান তোজো যশোরের একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডবল অনার্স নিয়ে ফিজিক্সে মাস্টার্স পাশ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
খালেদুর রহমান টিটো রাজনৈতিক পরিমন্ডলের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ১৯৬৩ সালে যশোর এম. এম. কলেজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করেন।
রাজনৈতিক সহকর্মী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, খালেদুর রহমান টিটোর শিক্ষাজীবন শুরু হয় যশোর জিলা স্কুলে। ১৯৬০ সালে এখান থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকার কায়েদে আজম কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে কারাগারে অবস্থানকালে যশোর এমএম কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। ১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৬৭ সালে কলেজের লেখাপড়া শেষে করে তিনি বাম ধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৪ সালের প্রথমদিকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী-ন্যাপ) এ যোগ দেন। ১৯৭৪ সালেই ন্যাপের জেলা সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর গণতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও সর্বশেষ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৭২ সালের ১৮ মে যশোর শহরের চুটিপট্টির মেয়ে রওশন আরা বেগমের সঙ্গে সংসার জীবন শুরু করেছিলেন টিটো। তাদের তিন ছেলে। ২০০৭ সালে স্ত্রী রওশন মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।