মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাভা সাগরে ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ফ্লাইট রেকর্ডার, কিছু ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। দেশটির জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো জাহজোনো রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিধ্বস্ত এসজে ১৮২ ফ্লাইটটির দুটি ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রোববারসা মরিক প্রধান জাহজান্তো শ্রিভিজয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইটটির ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুতই সেটি পুনরুদ্ধার করা হবে। যদিও নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা উল্লেখ করেননি।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাক এর উদ্দেশ্যে প্লেনটি যাত্রা করে। ফ্লাইটটিতে মোট ৬২ জন আরোহী ছিলেন।
রোববার সকালে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সামরিক নৌযান প্লেনটি থেকে সংকেত পায়। ডুবুরিরা সমুদ্রের ৭৫ ফুট নিচ থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার করেছেন। খুঁজে পেয়েছেন মানুষের শরীরে অংশবিশেষ আর কাপড়।
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। বিবৃতি দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংও। সব ধরনের সহযোগিতার জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছে।
৬২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানটির সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা দুর্ঘটনার স্থান খুঁজে পেয়েছেন। তারা ধারণা করছেন, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে বিমানের কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে রাজধানী জাকার্তা থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। পরবর্তীকালে সাগরের ওপরে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর থেকেই বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুম থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
ঘটনাস্থলে ১০টির বেশি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশে-পাশে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এগুলো আসলেই ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিমানটিতে ১০ শিশুসহ ৫০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিল। বিমানে থাকা সব আরোহীই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিমানে আরোহীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য দুইটি ক্রাইসিস সেন্টার খুলেছে কর্তৃপক্ষ। স্বজনদের খবরাখবর জানার জন্য তাদের অনেকেই এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছেন। যদিও সময় যত গড়াচ্ছে যাত্রীদের কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে।
অপরদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে শ্রিভিজয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর জেফারস আরউইন জানিয়েছেন, মেইনটেন্যান্স বা রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিমানটির সবকিছু স্বাভাবিক ও চলাচল উপযোগী ছিল। একইদিনে সেটি অভ্যন্তরীণ আরো দুইটি রুটে চলাচল করেছে বলেও জানান তিনি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় পন্টিয়ানাক এর উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় উড্ডয়নে দেরি হয়েছিল।
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এনিয়ে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের দুইটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও শনিবারের দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ২৭ বছরের পুরানো এবং বর্তমান প্রজন্মের ৭৩৭ ম্যাক্স-এর ত্রুটিপূর্ণ এমসিএএস সিস্টেম এতে ব্যবহার হয়নি। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।