পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহ। ভর শীতের মওসুম। শীত ঋতুর মাঝামাঝি। কিন্তু কোথায় চিরচেনা পৌষ? কোথায় শীত আর কুয়াশা? রোদের তেজ কড়া। সূর্যের জ্বলমলে রোদ। উজ্জ্বল আলোকিত চারদিক। কুয়াশা নেই। কোথাও কোথাও থাকলেও হালকা ও ক্ষণস্থায়ী কুয়াশা। রাস্তাঘাট সড়কে, হাটে-মাঠে-ঘাটে কাজেকর্মে ঘুরলে, হাটাহাটি করলেই গরমের তেজ বেশ আঁচ করা যায়। এমনকি ঘামিয়ে ওঠার অবস্থা।
গতকাল দিনভর প্রায় সারা দেশে আবহাওয়ায় এ ধরনের বিচিত্র অবস্থা অব্যাহত থাকে। কোথায় পালালো শীত! নাকি শীতের বিরতিকাল! সোয়েটার-মাফলার-শাল চাদরের মতো শীতের পোশাক-আশাক আপাতত তুলে রাখা যাচ্ছে। সন্ধ্যা-রাতে লেপ-কম্বল, মোটা কাপড় গায়ে না জড়ালেও চলছে। গরমের তেজে বুঝি কাবু পৌষ মাসের ‘স্বাভাবিক’ শীত।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। অর্থাৎ চলমান খেয়ালী আবহাওয়ায় আরও ৩ থেকে ৪ দিন ভরা এই শীতকালে রোদেলা তেজে গরমের আঁচ থাকবে। এরপর পৌষের শেষে, মাঘের শুরুর দিকে ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ নিচের দিকে নামতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩১ ডিগ্রি, রাতে আরও বেড়ে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ছিল। ‘শৈত্যপ্রবাহ’ দেশের কোথাও নেই। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৪ এবং সর্বনিম্ন ১৭, চট্টগ্রামে ৩১.৯ এবং ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বায়ুদূষণ গুরুতর : মধ্য-শীতের শুষ্ক আবহাওয়া। তাছাড়া বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি। এতে ভর করে বাতাসে ভাসছে ব্যাপকহারে ধুলোবালি ও ধোঁয়া। বায়ুদূষণ হচ্ছে গুরুতর পর্যায়ে। এতে করে সদি-কাশি-ভাইরাস জ্বর, শ্বাসকষ্ট-হাঁপানি, টনসিল, ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের। আইকিউ-এয়ার’র পর্যবেক্ষণ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুরে ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ও বায়ুদূষণ মাত্রা ৩০৩। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশে^র সর্বাধিক বায়ুদূষিত প্রধান শহর-নগরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।