মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন কোনও বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছেন- এঘটনা এতটাই বিরল যে, তেমন কিছু হলে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। সেখানে প্রকাশ্যে ব্যর্থতা স্বীকার করছেন তিনি- এ দৃশ্য অনেকটা অভাবনীয়ই বটে! এবার সেটাই ঘটেছে। উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কিম জং উন। টানা পাঁচ বছর পর ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। সেখানেই এই বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম নেতা। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে যে অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা প‚রণ হয়নি। অপরদিকে, উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থায় ক্রমেই শক্ত অবস্থান গড়ছেন কিম জং উনের ছোটবোন কিম ইয়ো-জং। দেশটির পরবর্তী শাসক হওয়ার পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সেই পর্যন্ত পৌঁছালে কিমের বোনই হবেন আধুনিক নারী শাসক। ৩৩ বছর বয়সী কিম ইয়ো-জং ইতোমধ্যেই উত্তর কোরীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছেন। বিদেশি প্রতিপক্ষগুলোর দিকে একের পর এক আক্রমণাত্মক বার্তা ছুড়ে প্রমাণ করেছেন নিজের মানসিক দৃঢ়তা। শুধু কথায় নয়, ইয়ো-জংয়ের কাজেও মিলেছে সেই প্রমাণ। গত বছর দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী লিয়াজোঁ অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ভাষায়, উত্তর কোরিয়ায় কিম জং উনের বোনের অবস্থান অনেকটা ‘রাজকন্যার’ মতোই। ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির প্রোপাগান্ডা ও আন্দোলন বিভাগের প্রথম ডেপুটি পরিচালক নিযুক্ত হন ইয়ো-জং। এরপর দ্রæতই বাড়তে থাকে তার ক্ষমতা। তবে ২০১৮ সালে বিশ্বের নজর কাড়েন কিম ইয়ো-জং। তিনি কিম পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। সেবছর শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে অংশ নিয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনেও দেখা গেছে কিম ইয়ো-জংকে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও কিম জং উনের পাশে ছিলেন তিনি। গত বছর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম গুরুতর অসুস্থ হওয়ার খবরের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ভাইয়ের সম্ভাব্য উত্তরস‚রী হিসেবে ইয়োর নাম উল্লেখ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। অর্থাৎ, কিমের পর দেশশাসনের ভার যাবে ইয়োর হাতেই। তবে কিছুদিন পরে সুস্থ কিম জং উন প্রকাশ্যে আসায় চাপা পড়ে সেই আলোচনা। তবে সম্ভাবনা একেবারে মিলিয়ে যায়নি। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হয় ইয়ো-জংকে। এছাড়া, মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ে শুরু হয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস। এতে অংশ নিয়েছেন দলটির কয়েক হাজার প্রতিনিধি। এই পার্টি কংগ্রেসে আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা পেশ করবেন কিম জং উন। সেখানে নেতৃত্বে পরিবর্তনের ঘোষণাও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও ভ‚মিকায় দেখা যেতে পারে কিম ইয়ো জংকে। দ্য সান, ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।