প্রায় দিনভর তীর্যক সূর্যের তেজ। রোদে জ¦লমল আবহাওয়া। মাঝরাত থেকে হালকা শীতের আমেজ। কুয়াশার চাদর হালকা। বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার অধিক। আকাশে হালকা সাদা মেঘের ভেলা। দিনের বেলায় গরম-মোটা কাপড় পরিধান করে চলাফেরা করতে তেমন দেখা যাচ্ছে না। যেন আশ্বিন-কার্তিক মাস!
পৌষের চতুর্থ সপ্তাহে অর্থাৎ পঞ্জিকার পাতায় শীতকালের প্রায় মাঝামাঝি এসেও এভাবে শীতের পলায়ন কী ভাবা যায়? জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় আবহাওয়ার খেয়ালী আচরণের কারণে এমনটি ঘটছে।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের বেশিরভাগ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রাতের পারদ ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি। যা ভরা শীত মওসুমের এ সময়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশিই। গেল ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ ছিলনা। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১০.৮ এবং সর্বোচ্চ সীতাকুন্ডে ৩২.২ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৯.২ এবং সর্বনিম্ন ১৫.৩, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৯.৯ এবং সর্বনিম্ন ১৬.৭ ডিগ্রি সে.।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।