মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফ্রিকার যেসব দেশে নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের হার বেশি, সিয়েরা লিওন সেগুলোর মধ্যে একটি। এই রীতি বন্ধে লড়াই চালাচ্ছেন এক নারী। সম্প্রতি ট্যুরে নামের প্রতিবাদী এই নারী জার্মান মানবাধিকার পুরস্কার জিতেছেন।
২০১৭ সালে প্রকাশিত ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, সিয়েরা লিওনের নারীদের ৮৬ ভাগ যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার। নারীর যৌনাঙ্গের বাইরের অংশ আংশিক বা পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়। সেখানে নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ বা এফজিএমকে বলা হয় ‘কাটিং’। বহু পুরানো এই প্রথায় অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়া ব্লেড, রেজার আর কাঁচের টুকরো দিয়ে যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ হল মেয়েদের যোনির মুখ সেলাই করে বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে সে বিয়ের আগে কোনো যৌনসম্পর্কে জড়াতে না পারে। বিয়ের পর স্বামী সেই সেলাই খোলে, যা অনেক সমাজে বিয়ের পূর্বশর্ত। সাধারণত মেয়ের বয়স পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়। এর ফলে রক্তক্ষরণ বা সংক্রমণে মেয়েদের মৃত্যুও ঘটে। জরায়ুতে সিস্টের কারণে অনেক নারী বন্ধ্যাত্বের শিকার হন। অনেকের সন্তান জন্ম দেয়ার সময় নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে ২০০২ সাল থেকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্যুরে। দ্য অ্যামাজোনিয়া ইনিশিয়েটিভ মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি নারী-পুরুষদের সমবেত করে প্রজেক্টারের সাহায্যে তথ্যচিত্র দেখান, যেখানে যৌনাঙ্গচ্ছেদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত দেখানো হয়। ভিডিও দেখে সবার মুখ থেকেই আর্তচিৎকার বের হয়। তথ্যচিত্র দেখানো শেষে সবার মতামত জানতে চান তিনি এ বিষয়ে। সিয়েরা লিওনের বন্দো সমাজে প্রবীণ নারী, যারা এই কাজে দক্ষ, তাদের বলা হয় সোয়াইস। বন্দো হলো নারীদের গোপন সমাজ, দেশের আদিবাসীদের জীবনে এবং রাজনৈতিক অঙ্গণে যাদের ভূমিকা রয়েছে। তথ্যচিত্র দেখে তাদের অনেকে শিউরে ওঠেন। যৌনাঙ্গচ্ছেদ অনুষ্ঠানে মেয়ের পরিবার সোয়াইসদের খাবার, কাপড়, গহনা এবং নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসবে উপহার দেয়ার চল আছে। ফলে যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধ হলে তাদের উপার্জনের পথ তৈরি করতে হবে। টুরের প্রচারণার পর একদল সোয়াইস যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধে একমত হন। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা এই কাজ থেকে বিরত আছেন। বন্দো সমাজে যৌনাঙ্গচ্ছেদ উপলক্ষে প্রাচীন নাচ গানের যে রীতি আছে, সেটাকে আরো প্রচারের আলোয় আনতে চান টুরে। তিনি বন্দো সংস্কৃতির প্রচার ঘটাতে চান। বন্দো সমাজের জন্য এই স্লোগানে নতুন প্রচারণা শুরু করেছেন টুরে। এই প্রচারণায় প্রথমে একশ জন নারী অংশ নিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মেয়েদের প্রতকি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর চেষ্টা করছেন তিনি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।