পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিড়িতে বৈষম্যমূলক শুল্ক প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ও কর্মচারী ঐক্য ইউনিয়ন। সোমবার সকাল ১১টায় বগুড়া রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বগুড়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক হেরিক হোসেন, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বিড়ির উপর অতিরিক্ত ৪ (চার) টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রীম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও ৩টি মূল্যস্তরকরণ, শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি ও ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ির ব্যবসা বন্ধ, ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালী বলেন, ‘দেশের প্রাচীন শ্রমঘণ বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ নদীভাঙনকবলিত ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ক্রমাগত মূল্যস্তর বৃদ্ধি, শুল্ক বৃদ্ধি এবং বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতির কারণে শিল্পটি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে শত শত বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্ম হারিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কার্যকরী সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, ‘চলতি বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্যস্তর ৪টাকা বাড়ানো হলেও সিগারেটে মাত্র দুই টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা চরম বৈষম্যমূলক ও বিড়ি শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরণের অনাকাঙ্খিত মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি আরো বলেন, বিড়ির মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে বিড়ির বাজার নকলবাজদের দখলে চলে যাচ্ছে। ফলে সরকার বিড়ি থেকে প্রকৃত ট্যাক্স আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’।
বগুড়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘শুল্ক বৃদ্ধির ফলে তারা কর্ম হারিয়ে বিড়ি শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ছেন। তিনি বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিড়ি শ্রমিকদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছিল সেভাবে সুযোগ সুবিধার দাবি জানান’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।