Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৌষেই শীতের ‘বিরতি’

শীত নামানো বৃষ্টির আভাস তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভর শীতের মওসুমে যেন শীতের ‘বিরতিকাল’ চলছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এখন বেশ উঁচুতে উঠে গেছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। এ সময়ে যা ‘শীত নামানো বৃষ্টি’।
পৌষ মাসের শেষ, মাঘের শুরুর দিকে কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের কাঁপন জোরালো হতে পারে। অন্তত আবহাওয়া পূর্বাভাস তাই বলছে। ২ পৌষ থেকে এক ঝটকায় ৫ থেকে ৬ দিন শীত দাপট দেখিয়ে এখন ‘আছে-নেই’ অবস্থায়।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৮.২ এবং সর্বনিম্ন ১৪.৬ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বনিম্ন পারদ ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সে.। পৌষের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ দিনে শৈত্যপ্রবাহ ছিল না তেঁতুলিয়া ছাড়া কোথাও। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সে. মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় দিনের বেলায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ থেকে ৩০ ডিগ্রির ঘরে। রাতের পারদও ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশপাশে। যা মওসুমের এ সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন এবং এরপরের ৫ দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ-
আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসে (পৌষ-মাঘ) দেশে এক থেকে দু’টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরমধ্যে একটি তীব্র ধরণের শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। তখন তাপমাপক পারদ নেমে যেতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
গত রোববার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় উপরোক্ত পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ।
এতে আরও জানানো হয়, জানুয়ারিতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গেল ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৮.৮ শতাংশ কম অর্থাৎ প্রায় বৃষ্টিপাতই হয়নি। পশ্চিমা ও পূবালী বায়ুর সংযোগ না থাকায় অনাবৃষ্টি বিরাজ করে মাসজুড়ে। ডিসেম্বরে দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ১৯ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৬.৬ ডিগ্রি সে.।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীত

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ