Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতার চেতনা, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা

তৈমূর আলম খন্দকার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

দেশে এখন চলছে স্বাধীনতার চেতনা, মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে জোর আলোচনা। অবশ্য এ তিন বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা কেউ দিচ্ছেন না। ‘ঝোপ বুঝে কোপ’ মেরেই নিজেদের দায়িত্ব সারছেন, বাহবা কুড়াচ্ছেন। বাহবা নেয়ার প্রশ্নে মুসলমানের সন্তানরা এক পা এগিয়ে। কারণ হিসেবে তারা মনে করেন, এ ভূমিকা পালন করতে পারলেই প্রগতিশীল সমাজে একটি শক্ত অবস্থান পাওয়াসহ কথিত বুদ্ধিজীবী সমাজে তালিকাভুক্ত হওয়া যায়। এ সুযোগে ভিন্ন ধর্মের অনেকেও ইসলাম ধর্মের ওপর চেপে বসেন। গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে যখন ভারতে পিটিয়ে মুসলমানদের হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের বকধার্মিক বুদ্ধিজীবীদের মুখে কোনো কথা ওঠে না। বরং তারা বলেন, ভারতের এসব অভ্যন্তরীণ বিষয়, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। অন্য দিকে মুখে দাড়ি থাকলে, মাথায় টুপি, টাখনুর ওপর কাপড় পরলেই বা মুসলমান মেয়েরা মাথায় হিজাব পরলেই তারা তাদের মৌলবাদী বলে চিহ্নিত করে থাকেন। দেশের নাটক বা সিনেমায় যে ব্যক্তিকে দিয়ে খুন, ধর্ষক, ভূমিদস্যু ও অত্যাচারীর চরিত্রে অভিনয় করানো হয় তার মাথায় টুপি, দাড়ি, কপালে সেজদার দাগ, পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা অবস্থায় দর্শকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। দৃশত মনে হয়, দাড়ি-টুপিওয়ালারাই যেন সব অপরাধের হোতা। সমাজে শার্টপ্যান্ট স্যুট টাই পরা লোকরা কি অপরাধ করে না? বাংলাদেশে একটি কথা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল যে, মাদরাসার ছাত্ররাই জঙ্গি এবং মাদরাসায় জঙ্গিবাদ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজানে। তখন প্রমাণ মিলেছে, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত, আধুনিক পরিবারের সদস্যরাও জঙ্গিবাদে জড়িত রয়েছে। এ দিকে সম্প্রতি মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বিতর্কে ‘প্রগতিশীল’ মুসলমানের সন্তানরাসহ বিশেষ ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা ইসলামপন্থীদের হাতে মূর্তি ভাঙার গন্ধ পাচ্ছিলেন বিধায় দোষারোপ করে যাচ্ছেন। অথচ বাস্তবে কী দেখা গেল? প্রখ্যাত বিপ্লবী বাঘা যতীনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কুষ্টিয়াতে স্থাপিত যে মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছিল, তাতে প্রথম সন্দেহের তীর ইসলামপন্থী মুসলমানের দিকেই নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের ইউনিয়ন নেতা বাঘা যতীনের মূর্তি ভেঙেছে। এ অভিযোগে অভিযুক্তকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহিষ্কার করেছে, আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সরকারের মন্ত্রীরা নিজেদের সাফাই গেয়ে অনেক কথাই বলে থাকেন, যা পরে ফাঁস হয়ে যায়, তারপর মন্ত্রীদের মুখে আর আওয়াজ থাকে না। প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছিলেন, তা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তখন বলেছিলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। তা ছাড়া পি কে হালদার কোন খুঁটির জোরে বিদেশে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন? ওসি প্রদীপ ১৪২টি খুন করার পরও সরকারের টনক নড়েনি, এর কারণ কী? বুয়েটে আবরার হত্যায় কার ইন্ধন বেশি ছিল?

কোনো বক্তব্য সরকারের বিপক্ষে গেলে বা কেউ সরকারের সমালোচনা করলে সরকার ও সরকারি ঘরানার লোকেরা বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী’। এই চেতনা কী, এ মর্মে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে অ্যাকাডেমিক আলোচনা করার উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া দরকার। ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র এক নেতা মিডিয়াতে সমালোচনা করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবিত অবস্থায়ই আওয়ামী লীগের পোস্টারে তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ লেখা দেখেছেন। তার মতে, এটা ‘স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী’। অথচ স্বাধীনতার আগে ছয় দফা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তবে আমরা কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করব না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মুসলমান।’ তাই জোর গলায় বলতে চাই, ‘আমার বিশ্বাস, ইসলাম ধর্ম আমাকে যতটুকু পারমিট করে, আমি ততটুকু বাঙালি।’
মৌলবাদ কী? সমাজবিরোধী ও অনৈসলামিক কার্যকলাপকে বিরোধিতা করাই কি মৌলবাদ? বাংলা একাডেমি প্রণীত Bengali to English Dictionary-তে মৌলবাদের ইংরেজি শব্দার্থ নেই। যতটুকু জানি, মৌলিক থেকে মৌলবাদ। ওই অভিধানে বাংলা ‘মৌলিক’ শব্দের ইংরেজিতে শব্দার্থে বলা হয়েছে, ‘মৌলিক’ অর্থ Derived from a root, Original, Fundamental, Basic, Primery, Radical, Primitive, Prime, Originality. মৌলবাদের উৎপত্তি যদি ‘মৌলিক’ শব্দ থেকে হয়ে থাকে, আমাদের আরো গভীরে যাওয়া দরকার। ‘মূল’ শব্দ থেকে ‘মৌলিক’। কেউ যদি তার ‘মূল’ অর্থাৎ শিকড়ের সন্ধান খোঁজে এবং সেমতে চলতে চায়, তবে অন্যের মাথাব্যথা হবে কেন? কোনো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যদি জোরগলায় বলেন ‘আমি খ্রিস্টান, কোনো হিন্দু যদি জোরগলায় বলে থাকেন ‘আমি হিন্দু’, কোনো মুসলমান যদি জোরগলায় বলেন, ‘আমি মুসলমান’ তবে এতে মৌলবাদের দোষ হবে কেন? প্রগতিশীল অর্থ কী, যার যার ট্রাডিশন থেকে সরে এসে ধর্মকর্ম বাদ দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে নাস্তিক হয়ে যাওয়া? যারা ধর্মকর্ম বাদ দিয়ে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করেছে, তাদের জীবনটা কি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে চলছে? আজকাল মুসলমানদের অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ যেন একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এ প্রবণতা উচ্চশিক্ষিত এবং উপরতলার বাসিন্দাদের মধ্যে বেশি ছিল। লেখায় বা কবিতায় যে যত বেশি অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করতে পারে, সে-ই নাকি তত বড় কবি বা লেখক।

সংখ্যায় নগণ্য হলেও আমাদের দেশে কিছু আলেম আছেন যারা আপসকামিতায় বিশ্বাসী। তারা যখন যেমন, তখন তেমন। কোনো নাস্তিক, ইসলামবিরোধী নেতা বা বুদ্ধিজীবী ইন্তেকাল করলে তার নামাজে জানাজা পড়ানো বা আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য ডাকলেই উপস্থিত হয়ে যান। পবিত্র আল-কুরআনে মুনাফিকদের নামাজে জানাজা না পড়ানোর জন্য আল্লাহপাক হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিষেধ করেছেন। তার পরও কিছু লোক সংখ্যায় যদিও নগণ্য, ওদের বেহেশতে যাওয়ার জন্য দোয়া করেন। জীবিত অবস্থায় যে ব্যক্তি আল্লাহকে স্বীকার করেনি তাকে বেহেশতে যাওয়ার জন্য দোয়া করা হয় কোন যুক্তিতে? যে ধর্ম মানেনি তার জানাজার নামাজ হলে তা কি হাস্যকর ও যুক্তিহীন নয়? আলেম-ওলামার কাছ থেকে আমরা শিখতে চাই, তাদের মধ্যে কথা ও কাজের সমন্বয় চাই।

‘সা¤প্রদায়িকতা’ বলতে আমরা কী বুঝি? বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অ্যাকাডেমিক আলোচনা হওয়া দরকার। ইসলাম অসাম্প্রদায়িক ধর্ম, যে ধর্মে জোরপূর্বক কাউকে ধর্মান্তরিত করার বিধান নেই। হজরত মুহাম্মদ (সা.) কখনো অন্য ধর্ম সম্পর্কে বিদ্বেষী কথা বলেননি, বরং বিদায় হজে এবং মক্কা বিজয়ের পর ভিন্নধর্মের প্রতি আঘাত না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংবিধান মোতাবেক বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘১. কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না। ২. রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন। ৩. কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বিষয়ে কোনো নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না। ৪. নারী বা শিশুদের অনুক‚লে কিংবা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘১. প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। ২. কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবে না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। ৩. এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই- ক. নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাহাদের অনুক‚লে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে; খ. কোনো ধর্মীয় বা উপ-সম্প্রদায়গত প্রতিষ্ঠানে ওই ধর্মাবলম্বী বা উপ-সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণের বিধান-সংবলিত যেকোনো আইন কার্যকর করা হইতে; গ. যে শ্রেণীর কর্মের বিশেষ প্রকৃতির জন্য তাহা নারী বা পুরুষের পক্ষে অনুপযোগী বিবেচিত হয়, সেরূপ যেকোনো শ্রেণীর নিয়োগ বা পদ যথাক্রমে পুরুষ বা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

তা ছাড়াও সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘১. আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে ক. প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; খ. প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে। ২. কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোনো ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাহাকে কোনো ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।’

একটি অবিশ্বাসী ও বকধার্মিক বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে, একই দেশে দুই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে না। এর অর্থ, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চললে তাদের মতে, ‘স্বাধীনতার চেতনা’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা বলতে চাই, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে কি বিভিন্নমুখী শিক্ষাব্যবস্থা নেই? বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বা উচ্চতর শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকলে সমস্যা কোথায়? এলএলবি পরীক্ষায় আমি নিজে মুসলিম ল’-এর পরিবর্তে হিন্দু ল’ সাবজেক্ট নিয়েছি এবং তাতে উত্তীর্ণ হয়েছি। শিক্ষা তো সবার জন্য উন্মুক্ত। শিক্ষাব্যবস্থাকে যারা সঙ্কুচিত করতে চান তারাই সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধুয়া তোলেন। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলতে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই, যা আছে কিছু লোকের মুখে মুখে। কথিত সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের অনেকেই বাংলাদেশ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

‘বাঘ এলো, বাঘ এলো’ বলে যে রাখাল বালক গ্রামবাসীর সাথে তামাশা করত, একদিন যখন সত্যিকারের বাঘ এলো, তখন কিন্তু গ্রামবাসী এগিয়ে না আসার কারণে অসহায় বালককে বাঘটি খেয়ে ফেলল। সাম্প্রদায়িকতা, সা¤প্রদায়িকতা বলে যারা কথায়, বক্তৃতায়, কবিতায় সর্বদা চিৎকার করেন তারা প্রচার প্রপাগান্ডার মাধ্যমে সা¤প্রদায়িকতাকে টিকিয়ে রেখেছেন। যদি সত্যি সত্যিই সাম্প্রদায়িকতা জেগে ওঠে, বিস্তার লাভ করে, তখন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তারা কি তা ভেবে দেখেছেন? আশার কথা, এদেশের সাধারণ মানুষ এ সম্পর্কে জানেও না, ভাবেও না। মূলত এ ভাবনা শুধু কতক মানুষের যার একাংশ নৈতিকতাবিহীন জীবনযাপন করে।
লেখক: রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন