মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসে বিশ্ব যখন কাহিল তখন নতুন করে আরেক প্রাণঘাতী ভাইরাসের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট এক হাসপাতালের বারান্দায় কিছু রোগী ইবোলা পরীক্ষার ফল জানার অপেক্ষায় আছেন। ওই রোগীরা এখন তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন শুধু পালতা প্লাস্টিকের ভেতর থেকে। সন্দেহ করা হচ্ছে তারা ইবোলায় আক্রান্ত। কিন্তু তারা যদি সত্যিই ইবোলায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলে তারা কিসে আক্রান্ত হয়েছেন, এই প্রশ্নটাই বিরাট আকার ধারণ করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা নাম না-জানা জীবাণুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যাকে চিকিৎসকরা ‘ডিজিস এক্স’ নাম দিয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, নতুন এই রোগ ইবোলার চেয়ে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বেশি প্রাণঘাতী এবং কভিড-১৯-এর মতোই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সরাসরি বক্তব্য দেয়নি। বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষকরা মনে করছেন, নতুন এই রোগ শনাক্ত ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডব্লিউএইচও দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে।
ড. দাদিন বোনকোল সিএনএনকে জানান, ‘আমরা সবাই ভীত। ইবোলা-কভিড-১৯ আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল। নতুন এই রোগ নিয়েও আমাদের ভয়ের কারণ আছে। আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যখন নতুন নতুন জীবাণু বের হয়ে আসছে। মানব প্রজাতির জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে জীবাণুগুলো।’ আফ্রিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চল থেকে বহু প্রাণঘাতী ভাইরাস অতীতেও ছড়িয়েছিল। ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক জ্যাঁ জ্যাকুইস মুয়েমবে তামফুম ইবোলা আবিষ্কার করেন।
ইবোলায় আক্রান্ত হলে যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তেমন অনেক উপসর্গই দেখা যাচ্ছে ডিজিস এক্সের ক্ষেত্রে। কিনসাসার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল রিসার্চে (আইএনআরবি) ডিজিস এক্সে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ওই গবেষণাগারে অতীতের বিভিন্ন ভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। অনেক পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সব পরীক্ষার ফলই আসে নেগেটিভ। ডিজিস এক্সের সংক্রমণের বিষয়টি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। অধ্যাপক মুয়েমবে সতর্ক করে বলছেন, বনের প্রাণীর শরীরে থাকা অনেক ভাইরাস এখন মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ইয়েলো ফিভার, বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেবি, ব্রুসেলোসিস ও লাইমের মতো রোগ সব প্রাণীদের শরীর থেকে মানবশরীরে এসেছে, যা থেকে মহামারীর সৃষ্টিও হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।