পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) মাসে দু’টি তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেশে বয়ে যেতে পারে। এ সময় তাপমাপক পারদ নেমে যেতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া দেশে আরও দু’য়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ (রাত থেকে সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সে.) বয়ে যেতে পারে এ মাসে। এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ দীর্ঘমেয়াদি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, জানুয়ারিতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয় ও সাইবেরীয় হিমেল হাওয়া আসতে পারে জোরালো বেগে। এরফলে হাড় কাঁপানো তীব্র শীতের কবলে পড়তে পারে বিশেষত দেশের উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, ঢাকা বিভাগসহ মধ্যাঞ্চল, সিলেট বিভাগ ও পার্বত্যাঞ্চলের একাংশ।
তবে আসছে সপ্তাহ পর্যন্ত পৌষের শীতের মাত্রা ‘স্বাভাবিকে’র চেয়ে কম এবং সহনীয় থাকতে পারে। পৌষের প্রথম দিকে তিন-চার দিন কনকনে শীতের এক ধাক্কার পর ক্রমেই সহনীয় পর্যায়ে উঠে আসে তাপমাত্রা। কুয়াশার ঘোরও এখনো নেই তেমন। জানুয়ারির প্রায় মাঝামাঝি থেকে ওইসব অঞ্চলে শীত ও কুয়াশার দাপট বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার ঘোরে দিনের বেলায় উজ্জ্বল সূর্য কিরণকাল থাকবে খুবই কম সময়। এতে করে শীত অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল, খুলনা ও সিলেটের আংশিক এলাকা বাদে বর্তমানে শীত সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পৌষ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। মৌসুমের এ সময়ের চেয়ে পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি কিছুটা। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৭.৫ ডিগ্রি সে.। এছাড়া সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭.৬, যশোরে ৯, চুয়াডাঙ্গায় ৯.২, রাজারহাটে ৯.৫, সৈয়দপুর ও ডিমলায় ১০ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৬ এবং সর্বোচ্চ ২৬.৩ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে
২৯.৫ ডিগ্রি সে.।
দেশের বেশিরভাগ জেলায় গতকাল রাতের সর্বনিম্ন পারদ ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি এবং দিনের তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির আশপাশে ছিল। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, যশোর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মধ্য-পৌষে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসের অধিকহারে জলীয়বাষ্প ও কুয়াশার সাথে ধুলোবালি ও ধোঁয়া মিলেমিশে বায়ুদূষণ আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এতে করে সর্দি-কাশি, ভাইরাস জ্বর, শ্বাসকষ্ট-হাঁপানি, টনসিল, ফুসফুসে জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের বেড়েছে কষ্ট-দুর্ভোগ। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় আইকিউ-এয়ার’র পর্যবেক্ষণ তথ্য মতে, ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ও বায়ুদূষণ মাত্রা (পিএম ২.৫) ছিল ৩১২। যা মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। বিশে^র সর্বাধিক বায়ুদূষিত প্রধান নগরসমূহের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় স্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।