বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছে বাংলা মায়ের লাখো লাখো দামাল ছেলেরা। জীবিতদের অনেকের নাম ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে যুদ্ধ শেষে ।
ভাতাসহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে । ইতিহাসের গহীনে তলিয়ে গেছে কারও নাম । সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেকের নামই উঠেনি তালিকায়। মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর গ্রামের মোকলেছুর রহমান ইতিহাসের পাতায় বাদ পড়াদের কাতারের তেমনই একজন মুক্তিযোদ্ধা।১৯৫২ সালে ১৩ অক্টোবর বাবা নজর আলী হাওলাদার ও মাতা জবুনা বিবির ঘরে জন্মগ্রহন করেন । স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরুলেও ঠাঁই মেলেনি গেজেটে। ভাগ্যে জোটেনি ভাতা । করছে মানবেতর জীবনযাপন।
১৯৭১ সালে ভারতের টেটরা বশির হাট ক্যাম্পে প্রশিক্ষন শেষে দেশের খুলনা এলাকায় যুদ্ধ করেন। দেশ রক্ষা বিভাগ কর্তৃক ইস্যুকৃত (ক্রমিক নং-৮৮৯১, ভারতীয় তালিকা নং- এফএফ৩৮৪১)।বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক মেজর এম এ জলিল- ৯নং সেক্টরে আঞ্চলিক অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মেহেদি আলী ইমামের যৌথ স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্রটি শুধু সৃতি হিসেবে রয়েছে ।
স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকার শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।বয়সের ভারে এখন আর রিকশার হ্যান্ডেল নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না। তাই নিরুপায় হয়ে চলে এসেছেন নিজ গ্রামে।তৎকালীন সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতা লাভের বুকভরা আশা নিয়ে রনাঙ্গনে জীবন বাজি রেখেছিলেন যে যোদ্ধা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বাধীন দেশে তিনি নিজেই এখন অসহায়।
মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, বেতাগী এলাকার তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতা আঃ মান্নান মৃধার ডাকে মুক্তি বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত হন ।তাদের সঙ্গে ভারতে গিয়ে তিন মাসের রন প্রশিক্ষন দিয়ে স্বদেশে ফিরে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধ করে আবার নাম অন্তর্ভূক্তি করতে হবে কখনো কল্পনাও করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা পাবেন কখনো ভাবেননি ।
তিনি আরও বলেন, খুবই কষ্ট করে জীবন কাটাচ্ছি। খাটুনি দেওয়ার মতো শরীরের অবস্থা নেই। একটি চোখ সম্পূর্ন নষ্ট । আত্মীয় স্বজনের সাহায্যে কোন মতে বেঁচে আছি। ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা ডাটা বেইজ ফরম পূরন করেছি।কিন্তু গেজেটে নাম উঠেনি এখনও। বর্তমানে যাচাই বাছাই তালিকায় আবারও নাম দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোহিতা কামনা করেন তিনি।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মল্লিক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাছাই বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তার নাম যাচাই বাছাই তালিকায় দেওয়া হয়েছে। গেজেটে অন্তর্ভূক্তি হয়ে স্বীকৃতি পেতে পারেন।
এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, তার কাগজ পত্র সঠিক হলে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।