বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ করে দিতে চার লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আকবর আলী আদালতে এ অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রতারণার শিকার আকবর আলী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বন্ধাবাড়ী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের ছেলে। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম কাওসার আহমেদ এ তথ্য জানান।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল কমিটির কাছে আবেদন করেন আকবর আলী। এ সময় তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাইফুল ইসলামের পরিচয় হয়। আপিল যাতে আকবর আলীর পক্ষে যায় এ জন্য তার কাছে অফিস খরচ বাবদ চার লাখ টাকা চান আসামি সাইফুল ইসলাম। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২ মে বাদী সরল বিশ্বাসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে আসামিকে দুই লাখ টাকা দেন। এরপর ৭ জুন আসামির ব্যাংকে হিসাবে আরও দুই লাখ এক হাজার টাকা দেন বাদী।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আপিল আবেদনে কোনো কাজ না হওয়ায় আসামির সাথে যোগাযোগ করেন বাদী। গত ৭ আগস্ট বাদী আসামির বাসায় যান। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে বাদীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ওই দিন রাত নয়টার দিকে সাইফুল ইসলাম বিসিআইসি কলেজের মেইন গেটে আকবর আলীর সাথে দেখা করে বলেন, বাদী তার বাসায় গিয়ে মান-সম্মান নষ্ট করেছেন। বাদী তাকে দেওয়া চার লাখ এক হাজার টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তিমূলক কথা বলেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আকবর আলী মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।