Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত

সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ওরফে টিপু মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অফিসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,  জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বৈঠকে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী ওরফে টিপু মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে তার সনদ জাল। এটি শিগগিরই রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করা হবে।
কাকরাইলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুক) প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতিত্ব করেন। গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী টিপু মুন্সীর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা  হয় বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটি থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ আগস্ট ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ সম্পর্কিত অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে নিজের অফিসে শুনানি গ্রহণ করেন। সেই শুনানির আলোকেই জামুকার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স ছিল ১৪ বছর তিন মাস। আগে কখনও মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ না করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরিসীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি আবেদন করে সাময়িক সনদ নেন।
সংসদীয় কমিটি সূত্র জানায়, হাফিজুর রহমান মুন্সীর বাড়ি টাঙ্গাইলের বাশাইল উপজেলার কাশীল গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম বজলুর রহমান মুন্সী। ১৯৫৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর তার জন্ম। সেই হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স ছিল ১৪ বছর তিন মাস। আগে কখনও মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ না করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরিসীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করে সাময়িক সনদ নেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম তাকে এই সাময়িক সনদ দেন। ওই বছরের ১ আগস্ট হাফিজুর রহমানকে যে সনদ দেয়া হয় তার সদস্য নং ম-১৫৮২৮৪। এর আগে জামুকার সুপারিশে একই বছরের ২৫ জুলাই তাকে গেজেটভুক্তও করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনে যে নথিপত্র জমা দেন তাতে দেখা যায়, হাফিজুর রহমান  ‘দেশ রক্ষা বিভাগ স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ’ এবং ১১নং সেক্টরে কাদেরিয়া বাহিনীর ১নং হাতেম আলী কোম্পানি কমান্ডার লোকমান হোসেনের নামে ২০০৭ সালের ২৫ মে স্বাক্ষরিত ‘১১নং সেক্টর, কাদেরিয়া বাহিনী, ১নং হাতেম কোম্পানি, রণাঙ্গন ৭১’ নামে একটি সনদ জমা দেন। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাময়িক সনদ এবং গেজেটভুক্ত করা যায় না। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এসব বিতর্কিত সনদ আমলে নিয়ে হাফিজুর রহমান মুন্সীকে গেজেটভুক্ত করা হয়।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ