রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ টেম্পারিং করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি প্রার্থীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় বৃহস্পতিবার একটি মামলা (নং-২৭) দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সনদ টেম্পারিং করে বিক্রির ৫ লাখ ৪০হাজার টাকা দালালদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পুলিশের কনস্টেবল প্রার্থী ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাটুলিয়া গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র মো. আ: রাজ্জাক। একই জেলার কালামপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন। এ ছাড়া গ্রেফতারকৃত দালালরা হচ্ছে- ধামরাই থানার শ্রীরায়পুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আয়নাল হোসেন, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বরুন্ডি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে মো. আ: আলীম ও ধামরাই থানার চান্ডিপাড়া হাতকোড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র মো. উজ্জল হোসেন। পলাতক রয়েছে পুলিশের কনস্টেবল পদে আরেক চাকরি প্রার্থী ধামরাই থানার ললিতনগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের পুত্র মো. মনোয়ার হোসেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠালে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, ঢাকা জেলা থেকে নারী-পুরুষসহ ৮৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাবে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৫০ জন থাকলেও প্রার্থী ছিল ৩৩ জন।
পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনষ্টেবল পদে চাকরি প্রার্থী মো. আ: রাজ্জাকের ভেরিফিকেশন করার সময় মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের সাথে বাড়ির অন্য কাগজপত্রে গরমিল পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আ: রাজ্জাকের পিতা তোতা মিয়ার নামে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দাখিল করা হয়েছে, তাতে তোতা মিয়ার পিতার নাম মরহুম জৈয়নুদ্দিন তালুকদার লেখা রয়েছে। ভেরিফিকেশনে প্রার্থীর দাদার নাম গরমিল পাওয়া যায়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে জানায় আ: রাজ্জাক নামে তার কোনো সন্তান নেই। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আট লাখ টাকা চুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করে চাকরি পাইয়ে দেয় আয়নাল, আলীম ও উজ্জল, নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজন। পুলিশ গ্রেফতারকৃত আয়নাল হাসেনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ও আলিমের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার কেের। একইভাবে প্রার্থী মনির হোসেনের পিতার বাচ্চু মিয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের সাথে প্রার্থীর দাদার নামে গরমিল রয়েছে। আরেক প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদের সাথেও একই গরমিল পাওয়া যায়। তবে পুলিশ মনোয়ারকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ সুপার বলেন, অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ টেম্পারিং করে দালালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রার্থী হয়েছিল তারা। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।