পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার প্রভাবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে বিনিয়োগে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশে নতুন শিল্প স্থাপনের গতিও মন্থর হয়ে পড়েছে। ঋণের চাহিদা নেই। আবার নতুন বিনিয়োগের জন্য আবেদন এলেও বাড়তি সতর্কতার কারণে ব্যাংকাররা এ মুহূর্তে ঋণ দিতে চাইছেন না। তাই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারি বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে উন্নয়নের ধারা সচল রয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে অলস টাকা। বর্তমানে অতিরিক্ত প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। শুধু তাই নয়; করোনার প্রভাবে বিদেশি বিনিয়োগও কমে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর প্রান্তিকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল ১০৪ কোটি ডলার। অথচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ৭২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এসেছে। তাছাড়া গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে নতুন করে কোনো বিনিয়োগ তো আসেইনি; বরং পূর্বের বিনিয়োগের স্থিতি থেকে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার তুলে নেয়া হয়েছে।
মহামারি এখনো বিদ্যমান; তাই আগামী দিনগুলোতে এই চিত্র বদলাবে না। অর্থনীতিবিদ ও দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ধারণা, বিদেশি বিনিয়োগ না বাড়লে দেশি বিনিয়োগও বাড়বে না, এতে মহামারিতে ওলটপালট অর্থনীতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে। যা দেশের জন্য দুশ্চিন্তার। পাশাপাশি দেশীয় নতুন বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগে নানামুখী দীর্ঘসূত্রীতায় আগ্রহ হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে এক ধরনের মন্দার মধ্য দিয়েই টিকে থাকার প্রয়াস চালাতে হবে এবং সম্ভাবনার নিরিখে নতুন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হতে হবে বলে মত দিয়েছেন অনেকে। যদিও সংশ্লিষ্ট অনেকেই আশার বাণী শোনাচ্ছেন। তাদের মতে, এ স্থবিরতা দ্রুত কেটে গিয়ে আশার আলো দেখা যাবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। কবে নাগাদ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসবে- এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেনি। বরং নতুন করে বিভিন্ন দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে সঙ্গত কারণেই বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এছাড়া কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ভোক্তার আয় কমে যাওয়ায় কমেছে পণ্যের চাহিদা ও উৎপাদন। এসব কারণেও বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
বিনিয়োগ স্থবিরতার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, দেশে বিনিয়োগের সঠিক পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। নানামুখী প্রণোদনা দেয়া হলেও ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী দীর্ঘসূত্রীতায় আগ্রহ হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ও বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশে মার্চ থেকে করোনার আঘাত এলেও চীনসহ অনেক দেশে ডিসেম্বর থেকেই এসেছে। ফলে ওই সময় থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্থরতা। করোনার প্রকোপ মার্চে প্রকট হলে তা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এ কারণে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, করোনা সঙ্কট কেটে গেলেও সামনে আমাদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। একই সঙ্গে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণেও নানামুখী সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে। তাই দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্রæত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
সূত্র মতে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বিশ্ব অর্থনীতিকে যেমন সংকটে নিমজ্জিত করেছে, একইভাবে দেশের অর্থনীতিও নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে। লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিপর্যয় নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ‘রূপান্তরিত করোনাভাইরাস’ এশিয়ার দেশগুলোতেও হানা দিয়েছে। বাংলাদেশেও করোনার ‘নতুন স্ট্রেইন’ শনাক্তের সংবাদ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে পুনরায় স্থবিরতা সৃষ্টির আলামত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, যা নিয়ে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা গভীরভাবে চিন্তিত।
বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৭২ কোটি ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ শতাংশ কম। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে ১০৪ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এই চার মাসে নিট এফডিআই কমেছে আরও বেশি; ৫০ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ সময়ে মাত্র ১৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই পেয়েছে বাংলাদেশে। গত বছরের একই সময়ে তা ৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছিল।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের তুলনায় চলে গেছে বেশি। মোট পুঁজিবাজারে যে বিনিয়োগ হয়েছে এর চেয়ে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি দেশে নিয়ে গেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এখানে নিট এফডিআই দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল পুঁজিবাজারে।
বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০২০-এর তথ্য মতে, করোনার কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ কমে গিয়ে ১ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়াতে পারে। ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গেল বছর বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যদিও বাংলাদেশ সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
সূত্র মতে, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সরকার। বিভিন্ন প্রণোদনা দিলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান না হওয়াসহ নানামুখী দীর্ঘসূত্রীতায় এর সুফল আসছে না।
এদিকে বিনিয়োগ না হওয়ায় ব্যাংকে হু-হু করে বাড়ছে অলস টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত তারল্য বা অলস টাকা দেড় লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। যা নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর শেষে তা আরও বেড়ে ২ লাখ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। ব্যাংকাররা জানান, এমন পরিস্থিতিতে পোর্টফোলিও বড় হলেও দুর্বল হচ্ছে ব্যাংকের ভিত। কারণ, টাকার সংকট যেমন এক ধরনের বিপদ, তেমনি বিনিয়োগ করতে না পারা অতিরিক্ত তারল্যও সমান বিপদ বয়ে আনে। তবে কেউ কেউ বলছেন, এ দৃশ্য সাময়িক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিনিয়োগ বাড়বে। তখন আর টাকা অলস পড়ে থাকবে না।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, ব্যাংকে অলস টাকার পাহাড় সৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক। কারণ, যে ঋণ দিয়েছি তা ফেরত আসছে না। তাই ব্যাংকাররা ভীষণ চিন্তিত এবং সতর্ক। দেশে বিনিয়োগ নেই। আমদানিও অপর্যাপ্ত। নতুন কোনো শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না। তাই ভালো গ্রাহক ঋণ নিতে চাইছেন না। উল্টো দাগী ঋণখেলাপিরা নতুন করে ঋণ চাইছেন। না দিলে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকিও দিচ্ছেন কেউ কেউ। সে কারণে আমরা বড় বেকায়দায় আছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের হাতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৩ কোটি, বিশেষায়িত ৩ ব্যাংকের হাতে ১ হাজার ৩১২ কোটি, বেসরকারি (কনভেনশনাল) ৩৪ ব্যাংকের হাতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৮ কোটি, ইসলামিক ৮ ব্যাংকের (বেসরকারি) হাতে ৪২ হাজার ৪৬২ কোটি এবং বিদেশি ৯ ব্যাংকের (বেসরকারি) হাতে রয়েছে ৩৩ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং নীতি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ব্যাংকের ২ লাখ ২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার ন্য‚নতম তরল অর্থ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মোট তারল্য থেকে উল্লিখিত অঙ্ক বাদ দিলে যা থাকে তাই হলো অতিরিক্ত তারল্য বা অলস টাকা। সে হিসাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বা অলস অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।
জানা যায়, ১ বছর আগেও তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছিল বেশিরভাগ ব্যাংক। নগদ জমা সংরক্ষণের হার (সিআরআর) ও সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণেই হিমশিম খাচ্ছিল বেসরকারি ব্যাংকগুলো। তারল্যের সংস্থান করতে বেশি সুদে অন্য ব্যাংকের আমানত বাগিয়ে নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
তবে মহামারির প্রাদুর্ভাবে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। এখন ব্যাংকগুলোতে রীতিমতো অলস তারল্যের জোয়ার বইছে। এক বছর আগে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে খরা ছিল তারল্য সংকটের কারণে। এখন ব্যাংকগুলোতে তারল্যের জোয়ার বইলেও ঋণের চাহিদা নেই। আবার নতুন বিনিয়োগের জন্য আবেদন এলেও বাড়তি সতর্কতার কারণে ব্যাংকাররা এ মুহ‚র্তে ঋণ দিতে চাইছেন না। ফলে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।
যদিও এ সময়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বেসরকারি খাতে অর্ধলাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ হয়েছে। করোনায় বড় ধাক্কা খাওয়া দেশের আমদানি খাত এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানি কমেছে ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এদিকে অতিরিক্ত তারল্যের চাপ সামলাতে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে এনেছে। এক বছর আগেও যেখানে কোনো কোনো ব্যাংক ৮ শতাংশের বেশি সুদে তিন-ছয় মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করেছে, এখন তা ৩-৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তারপরও অতিরিক্ত তারল্যের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাংকারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে একাধিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন।
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মুখতার হোসেন বলেন, করোনায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না। ফলে তারল্য জমছে। তবে এটা সাময়িক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশেষ করে ভ্যাকসিন এলে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। তখন বিনিয়োগও বাড়বে। আর বিনিয়োগ বাড়লে তারল্য কমে যাবে।
অর্থনীতিবীদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগ ছাড়া প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। ব্যাংকে কি পরিমাণে অলস টাকা থাকার নিয়ম আছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই গভর্নর বলেন, নগদ জমা সংরক্ষণের হার (সিআরআর) ও সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। তবে ব্যাংকে অলস টাকা থাকলে বাড়তি কোনো লাভ নেই। তিনি বলেন, আমদানি নেই বললেই চলে। মাসে ৪বিলিয়ন ডলার আমদানি হওয়ার কথা। অথচ এক বিলিয়নও হচ্ছে না। এ কারণে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর এ থেকেই বোঝা যায় দেশের রিয়াল সেক্টরগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।