পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতজুড়ে বির্তকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ঘটা করে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের উপরে নির্যাতন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই আইন বলবৎ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই ৩০ দিনে ওই আইনে ১৪টি মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মোট ৫১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও জেলে রয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যেই এই আইনের প্রয়োগ শুরু করে রাজ্য সরকার। মূলত ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি ও মুসলিমদের হয়রানি করতে এই আইন ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী রিপোর্ট অনুসারে, ১৪টি মামলার মধ্য ১৩টি মামলাই হিন্দু মেয়েদের সংক্রান্ত। এই মামলাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের জোর করে মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মোট ১৪টি মামলার মধ্যে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মাত্র ২টি মামলা। বাকি মামলাগুলি দায়ের হয়েছে আত্মীয় স্বজনের অভিযোগের ভিত্তিতে। অন্যদিকে এই মামলাগুলির মধ্যে ৮টি ক্ষেত্রে যুগলরা ধর্মান্তরণের অভিযোগ মানেননি। তারা নিজেদেরকে বন্ধু হিসাবে বলেছেন। কিংবা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ‘স্বেচ্ছায় সম্পর্ক’ রয়েছে। এক যুগল তো স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলেও জানিয়েছেন। জোর করে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করার একটি মামলাও রয়েছে এর মধ্যে। এই মামলায় আজমগড়ের ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলির ৩টি বিজনৌরের, ২টি শাহজাহানপুরের। বাকি বরেলি, মুজাফফরনগর, মৌ, সীতাপুর, হারদই, কনৌজ এবং মোরাদাবাদ জেলার।
যোগী সরকাররের আনা এই আইন ২৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। ২৮ নভেম্বর থেকে তা যোগী রাজ্যে প্রয়োগ শুরু হয়। এই আইনে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়েছিল বরেলিতে। একটি মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে। তবে এই আইন কার্যকর করা নিয়ে ভারতে সমালোচনা কম হয়নি। অনেকেই এই আইনের বিরোধিতাও করেছেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বলেছেন, ‘এখন ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট অব লাভ জিহাদ’ বলা হচ্ছে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় ‘লাভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। একে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। কিন্তু এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’ সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।