পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাসড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সু-শৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য মহাসড়ক আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড বা তোরণ টাঙালে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে। মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে দুই বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মহাসড়কে খড় বা ফসল শুকালে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। এদিকে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণের জন্য টাঙ্গাইলে সংরক্ষিত বনের ১১ হাজার ২৪৬টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়ালকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ জানান। তিনি বলেন, ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সু-শৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। মহাসড়ের ক্ষতি কমিয়ে সড়কে স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং যানবাহন চলাচলের গতিশীলতা নিশ্চিত করতে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মহাসড়েকর একটা ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড আছে কত স্প্রিডে গাড়ি চলতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি নিয়ন্ত্রণ না করি এবং ফ্যাসিলিটিজ মানুষকে না দেই তাহলে এ মহাসড়ক ব্যবস্থা ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হবে না। তিনি জানান, মহাসড়কের মাঝে-মাঝে আন্ডারপাস করা হবে, সেখান দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সিএনজি চালিত অটো, রিকশা চলাচল করতে পারবে। সব জায়গায় আন্ডারপাসের ব্যবস্থা থাকবে না, সেক্ষেত্রে ওভারপাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যেহেতু মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক থাকবে তাই বৃষ্টির পানি বা যে কোনো পানি যেন পরিষ্কার হয়ে যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। মহাসড়কের পাশে যেন পানির ব্যবস্থা রাখা হয় আইনে সে বিষয়ে বলা আছে। আনোয়ারুল বলেন, রোডের পাশে যেসব গাছ লাগানো উচিত সেসব গাছ লাগাতে হবে। কড়ই গাছ রাস্তার পাশে লাগালে ডাল-পালা সড়কে চলে আসে। সড়কে ডাল-পালা না আসে, সে ধরনের গাছ লাগাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রত্যেক মহাসড়কে লজিক্যাল দূরত্বে ফুয়েল স্টেশন ও মানুষের রিক্রিয়েশন বিশেষ করে লং ড্রাইভে যাওয়া ট্রাক চালকদের জন্য বিশ্রামের কক্ষ রাখতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব স্থাপনা করতে জায়গা নির্ধারণ করেছে। হাইওয়েতে ৮৫ কিলোমিটার গতি নিশ্চিত করতে হবে। এটা আইনে বলা নেই, এটা নির্ভর করবে সড়কটি কোন এলাকায় তার ওপর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল জানান, মহাসড়কে ছোট যান চলতে পারবে না। পাশের সার্ভিস লেনে সেসব যানবাহন চলবে। তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে। মহাসড়কগুলোর মাঝখানে ডিভাইডার থাকবে। আস্তে আস্তে সব হাইওয়েগুলো চারলেন করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ে হলে টোল দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মহাসড়কের পাশে অবকাঠামো নির্মাণ করলে, ফসল, খড় বা পণ্য শুকালে, ক্রসিং এরিয়া বাদে অন্য জায়গা দিয়ে হাঁটলে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। অধিদপ্তরের বিনা অনুমতিতে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, তোরণ বা এ ধরনের কিছু মহাসড়কে টাঙালে এবং ধীরগতির যানবাহনগুলো নির্ধারিত লেন ছাড়া মহাসড়কে উঠলে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করলে দুই বছরের কারাদন্ড আর স্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ টাকা এবং অস্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ হাজার টাকা দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ধনুয়া-এলেঙ্গা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়-নকলা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাঙ্গাইল জেলার ৫৩ দশমিক ১৫ একর বনভূমিতে বিদ্যমান গাছপালা কাটা এবং অপসারণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড- জিটিসিএল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য শফিপুর বনের ভিতর এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপারে ১১ হাজার ২৪৬টি গাছ কাটতে পারবে। সংরক্ষিত বনের মধ্যে গাছ কাটা নিষেধ করা ছিল ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। গ্যাস নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ২০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গ্যাসলাইনে কাজ হচ্ছে না। আমাদের ৩০ ইঞ্চি লাগবে। এজন্য নতুন লাইন করা হচ্ছে। এই গ্যাসলাইন যাবে নতুন যে রেল ব্রিজ হচ্ছে সেটার ওপর দিয়ে। এরপর স্টেশন থেকে বিতরণ করা হবে। এছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য স্থাপিত কূটনীতিক বন্ডেড ওয়ারহাউজ এর কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রিসভার ইত:পূর্বে গৃহীত বাস্তবায়িত গণ্য করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।