Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রুপিং থাকলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

আন্দোলনে সফলতা চাইলে দলের মধ্যে গ্রুপিং, বিভেদ বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই সরকারকে হটাতে হবে-ওয়াদা করি প্রতিদিন। ডেইলি প্রতিশ্রুতি নেই- দলের ভেতরে বিভেদ চলবে না, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে গিয়ে ৩/৪ জন নিয়ে দোকানে বসে কারে সাইজ করতে হবে- তা নিয়ে আলাপ করি আমরা। এভাবে বিভেদ, গ্রুপিং করলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, বিভেদ নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। ফাস্ট অব অল- স্ট্রাগল ফর ইউনিটি। অর্থাৎ দলের মধ্যে আমাদের শক্তি যতটুকুই আছে ওইটুকুকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সংগ্রাম করি। তারপরেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুভমেন্টটা করব। এটা আমার কথা নয়, মাও সেতুংয়ের কথা,” যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

তিনি বলেন, জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, দেশ থাকবে, দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র যদি নিশ্চিত করতে পারি শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেনো দেশের ১৮ কোটি মানুষই মুক্তি পাবে, দেশেই থাকবে, দেশেই আসবে, স্বাধীনভাবে চলবে,জনগনের পাশে থাকবে। এখন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান করছেন যতটুকু এখন বাকি দায়িত্বটা আমরা অকৃত্রিমভাবে আন্তরিকভাবে সমাধান করি এবং আন্দোলনের মাধমে দেশটাকে মুক্তি করি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্যকে স্বীকার করার সত্য সাহসের প্রয়োজন সেটা আওয়ামী লীগের নাই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ডাক দিয়েছেন তখন আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই অবলোক মস্তকে বিনা প্রতিবাদে, বিনা প্রশ্নে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। কেনো তাকে প্রশ্ন করেনি আপনি কে? কারণ জনগনের মনের কথা জিয়াউর রহমান বলেছেন। সেজন্য জিয়া এদেশের কোটি জনতার নিকট আত্মার আত্বীয়।

স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, জিয়াকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলে কিন্তু মুছা যায় না। এই ঐতিহাসিক সত্য কখনো মুছা যায় না। কাউকে নায়ক মহানায়ক বানানো যায় এবং ভালো চলচিত্রকার হইলে সেটাকে একটা ছবি আকারে পর্দায় ঠেকানো যায়, সেই নায়কের কর্মকান্ড দেখে মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়, চোখে জলও ফেলে কিন্তু সেটা গল্প, সেটা তো নাটক, সেটা সিনেমা। সেটা তো ইতিহাস না। হিস্টি অলওয়েজ ফ্যাক্ট। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, তার আর্ভিাব, তার কর্মকান্ড প্রতিটি ফ্যাক্ট, গল্প না। সেই কারণে তিনি একটি ইতিহাস।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা এখানে স্লােগান দিচ্ছি। পরস্পর হাত মেলাচ্ছি সব ঠিক আছে। কিন্তু রাস্তায় নামা ছাড়া মুক্তি নেই। কেউ যদি মনে করেন নির্বাচন করে মুক্তি পাবেন আমার মনে হয় না এটা সম্ভব হবে। কারণ সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন বলতে বাংলাদেশ আর কিছু নেই। রাস্তায় আন্দোলন করেই এই সরকারকে হঠাতে হবে।

এই সরকার তারেক রহমানকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় মন্তব্য করে কৃষকদলের আহবায়ক বলেন, তারেক রহমানকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় এই সরকার ও শেখ হাসিনা। যে মানুষটা একটা নির্বাচনও করে নাই, তার বিরুদ্ধে এমন কোনো মিথ্যা অপবাদ নাই এই শেখ হাসিনা দেয় নাই। তাই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে যদি দেশে ফিরে না আসে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবেনা। সেইজন্যে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতি মানে সংগঠন, সংগঠন মানে রাস্তা, রাস্তা মানে আন্দোলন। সেই আন্দোলনে আমাদের করতে হবে।

কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের আহবায়ক হাফেজ শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কৃষকদলের মাইনুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্দোলন

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ