নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিরি ‘আ’র পয়েন্ট টেবিলে আচমকা বড় রদবদল হয়ে গেল এ সপ্তাহে। চাইলে একে বড়দিনের উপহার বলেও মানতে পারে নাপোলি। আবার প্রাপ্য ছিল বলে এর গায়ে উপহার ট্যাগ লাগাতে তাদের আপত্তিও থাকতে পারে। তবে জুভেন্টাসের মনোভাব নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। বড়দিনের আগের এ ঘটনাকে তাদের অন্যায় বলেই মনে হয়েছে।
গত সপ্তাহেও পয়েন্ট টেবিলে তিনে ছিল জুভেন্টাস। বড়দিনের আগে সর্বশেষ ম্যাচে হেরেছে জুভেন্টাস, অন্যদিকে তাদের সঙ্গে লড়তে থাকা দলগুলো সবাই জিতেছে নয়তো ড্র করেছে। কিন্তু জুভেন্টাসের মূল সর্বনাশ হয়েছে অন্যভাবে। মৌসুমের শুরুতে ম্যাচ না খেলেই মুফতে ৩ পয়েন্ট পেয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব। সে পয়েন্ট আবার কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যেই ছয়ে চলে এসেছে জুভেন্টাস। এমনিতেই তার কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিশ্লেষকদের মনে। এর মধ্যে এভাবে পয়েন্ট হারানোয় একটু হতাশা জানিয়েছিলেন জুভেন্টাস কোচ আন্দ্রেয়া পিরলো। আর সেটা জানিয়েই এখন খোঁচা খেতে হচ্ছে তাঁকে।
গত অক্টোবরে লিগের শুরুর দিকটায় আবার করোনা হানা দিয়েছিল ইতালিয়ান লিগে। নাপোলির সঙ্গে ম্যাচের আগে জুভেন্টাসের দুই কর্মকর্তার করোনা ধরা পড়েছিল। ওদিকে নাপোলির পিওতর জিলিন্সকি ও এলিফ এলমাস ছাড়া এক কর্মকর্তারও ধরা পড়েছিল করোনা। নেপলস অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ তাই নাপোলি দলের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওদিকে জুভেন্টাস ঠিকই ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করে।
নাপোলি খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলায় খেলতে পারেনি। তারা জুভেন্টাসের মাঠে উপস্থিত হতে না পারায় ম্যাচটা বাতিল হয়। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী এক গোলরক্ষকসহ ১৩ জন খেলোয়াড় সুস্থ থাকলে একটি দলকে মাঠে নামতেই হবে। নাপোলি তা করতে না পারায় ম্যাচে জুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে বিজয়ী দেখানো হয় এবং শাস্তি হিসেবে নাপোলির ১ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়।
কিন্তু আঞ্চলিক প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে তাদের এভাবে সম্ভাব্য ৪ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার শাস্তি মেনে নেয়নি নাপোলি। তারা এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছিল। দেশটির ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা কলেজিও দি গারাঞ্জিয়া দেল্লো স্পোর্তের কাছে আবেদন করেছিল। ২২ ডিসেম্বর নাপোলির পক্ষেই রায় গেছে। ২০২১ সালে ম্যাচটি আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। পয়েন্ট টেবিলেও তাই ১ পয়েন্ট বেড়েছে নাপোলির। ওদিকে ৩ পয়েন্ট কমেছে জুভেন্টাসের। এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট জুভেন্টাসের, শীর্ষে থাকা এসি মিলানের চেয়ে পিছিয়ে ১০ পয়েন্টে! দুইয়ে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৩৩, পাঁচে থাকা নাপোলির ২৬। ইতালিয়ান লিগটা জমে উঠেছে বলে!
লিগ জমে উঠলে নিরপেক্ষ দর্শকের ভালো লাগতে পারে, কিন্তু পিরলোর তো আর সে আনন্দে যোগ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এ মৌসুমেই জুভেন্টাসের দায়িত্ব পেয়েছেন। তার অধীনেই গত নয় বছরে জুভেন্টাসের নিজস্ব সম্পত্তি হয়ে যাওয়া ট্রফিটা এভাবে হাতছাড়া হতে যাওয়ার দশা দেখে চিন্তিত হতেই পারেন পিরলো। তাই নিজের হতাশা একটু ঘুরিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘অন্য দলগুলোর জন্যই আমার খারাপ লাগছে, যাদের খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও খেলতে গেছে এবং এ নিয়ে কিছু না বলে পয়েন্ট হারিয়েছে। আমাদের চেয়ে তাদের জন্যই বেশি খারাপ লাগছে।’
অন্যদের জন্য দরদ দেখিয়েও লাভ হয়নি পিরলোর। ঠিক ধরা পড়ে গেছেন দি লরেন্তিসের কাছে। নাপোলির সভাপতি পিরলোকে বলেছেন নিজ দলের কোচিং নিয়ে ভাবতে, আইনকানুন নিয়ে মাথা না ঘামাতে, ‘পিরলো তো আইনজীবী না। নির্দিষ্ট কিছু আইন সম্পর্কে কিছু জানে না এবং নিয়মের ক্ষেত্রে কী বলা আছে, সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। পিরলোর উচিত কোচ হিসেবেই থাকা এবং কিছু ব্যাপারে ক্লাবের প্রতিনিধিদের কথা বলতে দেওয়া।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।