Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্থানীয় নির্বাচনের পর কাশ্মীরে ৭৫ জন আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩৯ পিএম

কাশ্মীরের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট স্থানীয় নির্বাচনে জয়লাভের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় আগাম ব্যবস্থা হিসেবে ৭৫ জন রাজনৈতিক নেতা ও সমাজকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স ও আল জাজিরা বিষয়টি জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নরেদ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয়ার পর এটি সে অঞ্চলে অনুষ্ঠিত প্রথম কোনো স্থানীয় নির্বাচন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের মধ্যে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ দল জামাত-ই-ইসলামীর নেতা ও সদস্য রয়েছেন। সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা রোধে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে নির্বাচনে অংশ নেয়া জোটের অন্যতম শরীক ও কাশ্মীরের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র ইমরান নবী দার বলেছেন, এই আটকের মাধ্যমে জনগণের রায়কে উপেক্ষা করা হয়েছে।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, জোটের বিজয়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, মোদি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা কাশ্মীরিরা মেনে নেয়নি।
ভারতপন্থী কিন্তু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনে বিশ্বাসী জোট- পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন নির্বাচনে ২৮০টি আসনের মধ্যে ১১২টিতে জয় লাভ করেছে। আট ধাপে নেয়া এই নির্বাচন ২৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর শেষ হয়। নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৭৪টি আসন পায় যেখানে মাত্র ৩টি ছিল কাশ্মীর উপত্যকা থেকে।
গত বছরের আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর সেখানখার অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-কর্মীকে আটক করে ভারত সরকার। এছাড়া ওই অঞ্চলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তখন যারা আটক হয়েছিলেন তাদের অনেকেই স্থানীয় নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন।
কাশ্মীরের রাজনীতিকরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফলে এটাই পরিষ্কার হয়েছে যে কাশ্মীরের জনগণ গত বছরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান মিলে কাশ্মীর অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে তার মধ্যে দুটি এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে হয়েছে।
দীর্ঘদিন আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গত অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন শান্তিপূর্ণভাবে পুনরুদ্ধারে জোটের ঘোষণা দেন। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ