মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তির খবর শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন লাখো মানুষ এবং ব্রেক্সিট চুক্তিতে জেতার দাবি করতে যাচ্ছে ব্রিটেন।যদিও দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ব্রেক্সিট চুক্তি ভুগিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের নেতা, রাজনীতিবিদ এবং কূটনৈতিকদের। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অবসান হবে এই দীর্ঘতম কূটনৈতিক সংকটের। জানুয়ারির শেষ দিকে ইইউ থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হবে ব্রিটেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটি ইইউ’র বাণিজ্য নীতিমালার অধীন থাকবে। -বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
ইতোমধ্যেই দুই পক্ষই একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট পরবর্তী ইইউ-ব্রিটিশ চুক্তির অনুমোদন দেবে ব্রাসেলস-লন্ডন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপিয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসূলা ভন দের লিয়েন টানা ৪৮ ঘণ্টা যাবত গোপনে ফোনে কথা বলেছেন। দুই পক্ষই দফায় দফায় নিজেদের জায়গাগুলো স্পষ্ট করেছে। ইইউ’র সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বুধবার আলোচনা করেছেন ব্রিটিশ মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জেতার দাবী করতে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হওয়ার সমঝোতাপূর্ণ ‘ব্রেক্সিট’ নিয়ে গণভোটের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। টোরি দলের দশকব্যাপী করে চলা এই দাবীকে গণভোটে জাতীয় দাবীতে রুপ দেয় ব্রিটেন। ৪৮.১ শতাংশ ভোটের বিপরীতে ৫১.৯ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন পদত্যাগ করেন ডেবিট ক্যামেরুন। ১৩ জুলাই থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকরের লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলেও চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যর্থতা নিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ মে অশ্রুসিক্ত নয়নে পরাজয় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই বরিস জনসন ব্রেক্সিট কার্যকর ও দেশকে একত্রিত করার বার্তা দিয়ে ভার নেন ডাউনিং স্ট্রিটের। বরিসের কাঁধে ছিলো ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অন্তবর্তীকালীন সময়সীমা পার হওয়ার পূর্বেই ব্রেক্সিট কার্যকর। তবে বাণিজ্য চুক্তি করতে গিয়ে বারবারই ধাক্কা খেয়েছে ব্রিটেন, দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় নির্ধারিত সময়ে হয়নি প্রত্যাশিত চুক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।