Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেকুয়ায় শক্তিশালী বেড়িবাঁধ উ

পকৃত হবে উপকূলীয় এলাকার ৩ লাখ মানুষ

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলের লাগোয়া সমুদ্র উপক‚লীয় উপজেলা পেকুয়া। এ উপজেলায় ৩ লাখ মানুষের অভিশাপ ছিল ভাঙা বেড়িবাঁধ। সাগরের জলোচ্ছ্বাস সও জোয়ারের পানি সমতল এলাকায় প্রবেশ করে প্রতিবছর ক্ষতি সাধন করত কোটি কোটি টাকার রফতানি যোগ্য চিংড়ি, লবণ চাষের। সমুদ্রের এ ক্ষতি থেকে মানুষের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছে শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক বেড়িবাঁধ। বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বর্তমানে বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। মাঝখানে করোনার কারণে কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকার পর এখন পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলছে।
পাউবো সূত্রে জানান, বিগত ২০১৬ সালে মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা কাকপাড়া থেকে মগনামা শরৎঘোনা পর্যন্ত বেড়িবাঁধে মাটি ভরাটসহ বøক বসানোর জন্য পাউবোর কাছ থেকে কার্যাদেশ পান কক্সবাজারের উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের তদারকির মাধ্যমে সিডিউল মোতাবেক কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। পূর্বে এসব ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সমুদ্রের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পেকুয়া উপজেলার মগনামা, উজানটিয়াও রাজাখালী ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের জীবন যাত্রা ব্যাহত হত। বর্তমানে শক্তিশালী প্রতিরক্ষামুলক বেড়িবাঁধ নির্মিত হওয়ায় মানুষের জানমাল রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি লবণ, চিংড়ি ও বিভিন্ন ধান, শাক সবজির চাষ করতে পারায় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত পেকুয়া শাখা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, পেকুয়া উপজেলার ১২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত মগনামা, উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। বর্তমানে এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকায় মাটির বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি পাথরের তৈরি বøক প্লেসিং ও ডাম্পিং করা হচ্ছে। যাতে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানি থেকে বাঁধ রক্ষা করা যায়।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, মগনামায় বেড়িবাঁধের কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রæত গতিতে এগিয়ে নেয়ায় তার ইউনিয়নের মানুষেরা সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের প্রজক্টে ইঞ্জিনিয়ার মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কিছু কু-চক্রিমহল ও চাঁদাবাজ আমার কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলছেন। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে । তিনি আরো বলেন, এখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করে থাকেন। বেড়িবাঁধের মাটি ভরাট থেকে শুরু করে বøক বসানোর সম্পূর্ণ কাজ পাউবোর শিউিডল মোতাবেক করা হয়েছে। শিডিউলের বাইরে কোন কাজ করা হয়নি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপকূল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ