Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ শ্রাবনের পূর্ণিমায় বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে বিপন্ন দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলীয় জনপদ

সব নদ-নদীর পানি আরো ২৫-৫০ সেন্টিমিটার বাড়ল

বরিশাল ব্যুরো/ | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৪:৩২ পিএম | আপডেট : ৪:৩৪ পিএম, ১৪ আগস্ট, ২০২২

উপক’লভাগ সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে শেষ শ্রাবনের পূর্ণিমায় মাঝারী থেকে প্রবল বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে জনজীবন বিপন্ন। বরিশাল মহানগরীতে রোববার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরসমুহকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যাবার পাশাপাশি পায়রা সমুদ্র বন্দরকেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।

পূর্ণিমা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লীয় এলাকার দ্বীপ সহ চরাঞ্চলসমুহ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট বায়ুতারিত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে বীজতলা সহ বিপুল পরিমান রোপা আমনের জমি গত ৪দিন ধরে পানির তলায়। আগের দিনের তুলনায় রোববার বিকেলে দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদীর পানি ২৫Ñ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। খোদ বরিশাল মহানগরীর অনেক এলাকায় হাটু পানি। নগরীর অনেক সড়কে জাল ফেলছে কৌতুহলী মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল হাইড্রোলজি উপ-বিভাগ থেকে ‘দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ভারী বর্ষণ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগর উপক’লের পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবার’ কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি উজান থেকে বয়ে আনা পানি নিয়ে সাগরে প্রবাহমান মেঘনা, বলেশ^র, আড়িয়াল খাঁ, তেতুলিয়া, বুড়িশ^র, সন্ধা, সুগন্ধা সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদীর পানি এসময়ে যথেষ্ঠ বৃদ্ধির পাশাপাশি তা বিপদ সীমার ৫০Ñ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চলতি ‘ খরিপ-২’ মৌসুমে শুধু বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষে যে প্রায় সোয় ৭ লাখ হেক্টরে আমন আবাদের কথা, তা এখনো অনিশ্চয়তার কবলে। চারদিন আগে মাত্র ১৫ ভাগ জমিতে আমন রোপন সম্ভব হলেও গত ৪দিন এ অঞ্চলের প্রায় সব বীজতলা সহ রোপা আমন প্লাবনের শিকার। অথচ প্রায় ৮ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ব দক্ষিনাঞ্চলে আমন’ই এখনো প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল।
ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারের সাথে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ২৪টি ফেরি সেক্টরের ৪৮টি ঘাট গত ৪ দিন ধরে নুন্যতম ১২ ঘন্টা করে প্লাবনের কবলে। ফলে বরিশালÑভোলাÑচট্টগ্রাম, বরিশাল-খুলনা/মোংলা, বরিশালÑপটুয়াখালী-বরগুনা এবং বরিশাল-পটুয়াখালীÑমির্জাগঞ্জ মহাসড়কে দিনের বেশীরভাগ সময়ই যানবাহন চলাচল মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে।
পাশাপাশি মাঝারী থেকে প্রবল বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চল সহ সমগ্র উপক’লভাগের জনপদের পর জনপদ প্লাবনের কবলে। ফলে দক্ষিণ উপক’লের লক্ষ লক্ষ পানিবন্দী মানুষের জীবন ক্রমশ দূর্বিসহ হয়ে উঠছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ