২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ডিস্ক প্রলেপস কি? আমাদের মেরুদ-ের হাড়গুলোকে বাংলায় বলা হয় কশেরুকা ও মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় ভাট্রিব্রারা, মেরুদন্ডের দুইটি কশেরুকার মধ্যে ফাঁকা থাকে যেখানে এক ধরনের ডিস্ক থাকে যাকে ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক বলে। এই ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায় তখন তাকে ডিস্ক প্রলেপস বলে।
ডিস্ক প্রলেপস কেন হয় : অনেকগুলো কারণে ডিস্ক প্রলেপস হতে পারে। যেমন- আমাদের মেরুদন্ডের সাথে যে স্পাইনলে লিগামেন্ট ও মাংসপেশি থাকে এগুলি দুর্বল হয়ে গেলে। -অসচেতনভাবে সামনের দিকে ঝুঁকে ভারী কিছু উঠাতে গেলে। -আঘাত পেলে বা উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেলে । -দীর্ঘক্ষণ নীচে বসে কাজ করলে, -এমনকি সামনের দিকে ঝুঁকে জুতার ফিতা বাঁধতে গেলে অথবা বেসিনে মুখ ধুতে গেলেও ডিস্ক প্রলেপস হতে পারে।
ডিস্ক প্রলেপস কোথায় কোথায় হয়ে থাকে : সাধরণ ডিস্ক প্রলেপস আমাদের ঘাড় বা সারভাইক্যাল স্পাইন ও কোমর বা লাম্বার স্পাইনে বেশি হয়ে থাকে। সারভাইক্যাল স্পাইনের সি৫Ñ ৬ ও সি৬-৭ লেভেলে ও লাম্বার স্পাইনে এল ৪-৫ ও এল ৫ - এস১ লেভেলে বেশি হয়।
ডিস্ক প্রলেপস কাদের বেশি হয় ?
এটি মহিলা ও পুরুষ উভয়েরই হয়। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলারা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন।
ডিস্ক প্রলেপস এর লক্ষন কি ?
ঘাড় বা সারভাইক্যাল স্পাইন ঃ
-ঘাড়ে ব্যাথা, ব্যথা ঘাড় থেকে হাতের দিকে ছড়ায় ও হাতে তীব্র ব্যথা হয়। হাত ঝুলিয়ে রাখলে ও বিছানায় শুলে বেশি ব্যথা করে, হাত ঝিনঝিন করে বা অবশ অবশ মনে হয়, হাতের শক্তি কমে যায় বা হাত দুর্বল হয়ে আসে, অনেক ক্ষেত্রে হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে ইত্যাদি।
কোমর বা লাম্বার স্পাইন
-কোমরে ব্যাথা, ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে ছড়ায়, পা ঝিন ঝিন বার অবশ অবশ মন হয়
-খানিক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা হাঁটলে আর হাঁটার ক্ষমতা থাকে না কিন্তু কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে আবার কিছুক্ষণ হাঁটতে পারে।
-পা ভারী বা অধিক ওজন মনে হয়
-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করে, পায়ের শক্তি কমে যায় ও অনেক ক্ষেত্রে পায়ে মাংসপেশী শুকিয়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রসাব ও পায়খানায় কন্ট্রোল থাকে না।
ডিস্ক প্রলেপস নির্ণয় করবেন কিভাবে ?
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি পরীক্ষার পাশাপাশি আক্রান্ত স্পাইনের এম আর আই বা ম্যাগনেটিক রিজোনেনস ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে কোন লেভেলে কতটুকু ডিস্ক প্রলেপস তা সঠিকভাবে নির্ণয় করে থাকেন।
চিকিৎসা : এর চিকিৎসা হল ওষুধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম অর্থাৎ হাঁটাচলা বা মুভমেন্ট করা যাবে না, এমন অবস্থায় থেকে সঠিক ফিজিওথেরাপি, এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ২-৪ সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিলে ও চিকিৎসক নির্দেশিত থেরাপিউটিক ব্যায়াম করলে রোগী দ্রুত আরগ্য লাভ করে। এবং সুস্থ হওয়ার পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন- সামনের দিকে ঝুঁকে ভারী কাজ করবেন না, ভারী ওজন তোলা নিষেধ। শক্ত বিছানায় শোবেন, ভ্রমণ ও হাঁটাচলার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করবেন, চিকিৎসকের নির্দেশীত ব্যায়াম করবেন।
ষ ডা: এম ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যথা, পারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা। মোবা : ০১৭৮৭-১০৬৭০২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।