Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:০৬ পিএম

অপ্রাপ্তির চেয়ে প্রাপ্তিটাই অনেক বেশি। তাই তো ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন আলোর ঝিলিক হয়েই দেখা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। গতকাল(শুক্রবার) শেষ হওয়া এ টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেকেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। এই যেমন জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন দারুণ মুগ্ধ সদ্য সমাপ্ত এ আসর নিয়ে। তার কথায়,‘টুর্নামেন্টে তিনটা সেঞ্চুরি হয়েছে, যার সবগুলোই করেছে তরুণ ব্যাটসম্যানরা। আমার মূল তৃপ্তি তরুণদের কয়েকজন দারুণ খেলেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। কয়েকজন ব্যাটসম্যান ভালো করেছে, যাদেরকে টি-টোয়েন্টির উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়। জাতীয় দলের বাইরের অনেক বোলার ভালো করেছে এ আসরে। এসবই দারুণ ব্যাপার।’ সুমন মনে করেন এই টুর্নামেন্টটি নিয়মিত হলে ভালো হয়। যা স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরও উপলব্ধি। তাই তো ফাইনাল চলাকালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোর্ডে বিষয়টা নিয়ে তারা আলাপ করেছেন যে, প্রতি বছরই এ টুর্নামেন্টটা রাখতে চান। প্রতিবছরই এটা করতে চায় বিসিবি। বিসিবি সভাপতি স্বীকার করেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে অনেক ভালো খেলোয়াড় পেয়েছেন তারা। পাপন বলেন,‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিপিএলের চেয়ে এই টুর্নামেন্টটা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। এটার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, এতজন স্থানীয় ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়া এবং এতগুলো ছেলেকে দেখার সুযোগ অন্যান্য বছর আমাদের হয় না। তাই এ টুর্নামেন্টটি নিয়মিত করার আমাদের ইচ্ছা আছে।’

সুমনেরও একই কথা,‘আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলে খুব ভালো হয়। বিপিএলের আগে এরকম একটি টুর্নামেন্ট শুধু দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া উচিত। অনেক ক্রিকেটার তাহলে নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে।’

বিপিএল ছাড়াও শুধুমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রয়োজনীয়তা অনেক দিন থেকেই অনুভব করছেন দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। কারণ বিপিএলে একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার থাকেন চার জন করে, এমনকি পাঁচ জনও ছিল। সঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররা তো আছেনই। এদেরকে টপকে উঠতি ক্রিকেটারদের জন্য বিপিএলে খেলা ও নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ খুব সামান্যই। এই সংস্করণের উপযোগী ক্রিকেটার বের করে আনতে, নিজেদের ঝালাই করতে এবং পাশাপাশি ২০ ওভারের ক্রিকেটে এগিয়ে যেতে আরেকটি নিয়মিত টুর্নামেন্টের বিকল্প তাই নেই। করোনাকালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ পরিপূর্ণভাবেই ফুটিয়ে তুলল এমন একটি টুর্নামেন্টের উপযোগীতা। টুর্নামেন্টটি কেমন হওয়া উচিত, তার একটি রূপরেখাও মিলে গেল এ আসর থেকে। বড় প্রাপ্তিটা এখানেই। এখন সবারই উপলব্ধি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ বিপিএলের বিকল্প হতে পারে।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকা দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন,‘আমি মনে করি,এই টুর্নামেন্টের যে উদ্দেশ্য ছিল, সেটা ভালোভাবেই পুরণ হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচ বেশ উত্তজনাপূর্ণ হয়েছে। এমন অনেক ছেলে পারফর্ম করছে, যাদেরকে আমরা প্রত্যাশা করিনি। এখানে আমাদের ছেলেরা খেলার সুযোগ পেয়েছে নিয়মিত, জায়গা মতো ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন,‘ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট যদি আমরা চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় আগামী কয়েক বছরে আমরা বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার পেয়ে যাব, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলবে ও আমাদের ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি-টোয়েন্টি

১৪ নভেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ