Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় পতাকা বিকৃত করে বিজয় উদযাপন: সমালোচনার ঝড়

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪৪ পিএম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একদল শিক্ষকের জাতীয় পতাকা বিকৃত করে বিজয় দিবস উদযাপনের ঘটনায় বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়। পতাকা বিকৃতির একটি ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ঘটনায় দোষী শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে বেরোবির একদল শিক্ষক বিকৃত জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবিতে পোজ দেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে ফেসবুকে সমালোচলার ঝড় তোলে। ইতোমধ্যে জাতীয় পতাকা বিকৃত করে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেট্টোপলিটন তাজহাট থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক এই অভিযোগে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, জাতীয় পতাকার ডিজাইন অনুযায়ী সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত থাকার কথা থাকলেও বিজয় দিবস উদযাপনকারী ওই শিক্ষকদের পতাকায় সবুজের মাঝে লালবৃত্তের বদলে ছিল চারকোণা আকৃতির লাল বর্গ!

পতাকা বিকৃতির নিন্দা জানিয়ে সুফিয়ান সানি লিখেছেন, ‘‘শিক্ষকদের এ-ই কোয়ালিটি,, তেলবাজ একটা প্রজন্ম পাচ্ছি আমরা এটা সিউর। জাতীয় পতাকার মর্যাদা সম্পর্কে যাদের ধারনা নাই তারা কেমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলো? আগে ত জানতাম সবচেয়ে মেধাবী জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতো,,এখন মনে হয় তৈলবাজিতে সবচেয়ে এক্সপার্টরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন। কত শত বছর যে এই দুর্নীতির দায় ভোগ করতে হবে এ-ই জাতির আল্লাহই জানেন।’’

নাসিম আহমেদ লিখেছেন, ‘‘অবশ্যই অবশ্যই এটা উচিত করে নাই। ব্যাপার এখানে দুইটা। তারা কি না বুঝে করেছে নাকি বুঝে করেছে। তবে বাংলার সকল হৃদয় ব্যথিত হয়েছে। কারণ এই পতাকা রেডিমেট কিনে আনি নাই। কিভাবে এনেছি তা বিশ্ব দেখেছে।’’

মামুন হোসাইন লিখেছেন, ‘‘দূখ্য প্রকাশ করলেই সব সমাধান হয়না। এটাকে না দেখার কোনো রকম অবকাশ নাই। যারা এটা করেছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই করিয়াছে। এর কারন এবং উদদেশ্য বের করে আইনের আউতায় আনা হোক।একটি দেশের জাতীয় পতাকা কোনো রকম খেলনা নয়। তাই কোনো রকম অবহেলা করা যাবে না।’’

সুজিত চন্দ্র লিখেছেন, ‘‘এই সমস্ত মাথা মোটা বিকৃত চিন্তার শিক্ষকদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।যারা জাতীয় পতাকার গঠন ও ব্যবহার জানে না তারা ছাত্রছাত্রীদের কি শেখাবে?’’

হিমু সুজন লিখেছেন, ‘‘ওরা দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক ওরা দেশের ইতিহাস বিকৃতকারী..ওরা বৈইমান রাজাকারের উত্তরসূরী..! ওরা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তকে অপমানকারী...! ওদের বিচারকার্য করা হোক তারাতাড়ি..!’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ