Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৫০ পিএম

রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সোনাদিঘি এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিজয় দিবসের সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি ও ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এরপর তিনি সেখানে একটি প্রতীকি শহীদ মিনারে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য মানুষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৪ দল, রাজশাহীর উদ্যোগে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১৪ দল, রাজশাহীর সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. শামসুল আলম বীর প্রতীক, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য ও কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রবীণ সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার ঘোষ।
সমাবেশে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আরও অনেক স্থাপিত হওয়া উচিত ছিলো। দেরীতে হলেও আজকে এই শহীদ মিনার উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী আপামর জনতা তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে এই জায়গাকে সবসময় ব্যবহার করতে পারবে। এটা রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবী ছিলো। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন হলো।

মেয়র বলেন, শহীদ মিনার একটা আবেগের জায়গা। এখানে সভা-সমাবেশ হবে। মানুষ এসে তার মনের কথা বলবে। ঢাকায় যেমন বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার মরদেহ শহীদ মিনারে রেখে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়, তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়, এখানেও তেমন হবে। দ্রæতই সবাইকে নিয়ে সভা করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় হাত দেব।
সিটি মেয়র বলেন, রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি দৃষ্টিনন্দন ও উন্মুক্ত পরিবেশ। সারাবছর এটি খোলা থাকবে। জনগণের দাবি আদায়ের কেন্দ্রবিন্দু হবে। আসুন এখনো যদি শহীদ মিনারের ব্যাপারে দ্বিমত থাকেন, আমাদের সাথে বসতে পারেন। তবে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আমরা একজোট হয়েছি। আগামী ২১ ফেব্রæয়ারি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জেলা পরিষদ এখন নিজেদের টাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলছে। কিন্তু টাকা তো চাইতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সে টাকা আগেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। একবার ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে এলে সেই ট্রেন ঘুরে এসে আবার নতুন করে ছাড়ে না। অতএব, সেইসমস্ত বক্তব্য অবান্তর, অবাস্তব, অরাজনৈতিক, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা আন্দোলনকে অবমাননাকর এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননাকর।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে আমরা দেব না। এটা আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় সিটি মেয়র মিটিং ডাকবেন। সংসদ সদস্য হিসেবে আমি এই মিটিংয়ে যাব। মাননীয় মেয়রের এই উদ্যোগকে আমি পূর্ণাঙ্গভাবে সমর্থন করি। ভাষা আন্দোলনের সময় যারা রাজশাহী কলেজে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলেন, তারা আজ ২০২০ সালে এসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য এখানে এসেছেন। তাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এখানে হবে, কেউ বাধা দিতে পারবেন না।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আমাদের অহংকার। আজকের এই দিনে শহীদ মিনার স্থাপনের যাত্রায় সামিল হতে পেরে আনন্দ বোধ করছি। আশা করি, রাজশাহীবাসীর প্রাণের এই দাবী খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এই শহীদ মিনারের চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের মনের ভাব প্রকাশের স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, আজিজুল আলম বেন্টু, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব উল আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শ্যাম দত্ত, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, কোষাধ্যক্ষ এ.বি.এম হাবিবুল্লাহ ডলার, জাতীয় পার্টির, কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুল ইসলাম স্বপন, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, বাংলাদেশ জাসদ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি নুরুল ইসলাম হিটলার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, জাসদ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. মোজাফফর হোসেন, জহির উদ্দিন তেতু, এনামুল হক কলিন্স, মোশফিকুর রহমান হাসনাত, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, মোঃ আব্দুস সালাম, অ্যাড. শামিমা আক্তার খাতুন, তোজাম্মেল হক বাবলু, সৈয়দ মন্তাজ আহম্মেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, আলিমুল হাসান সজল, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ উন নবী আহসান, মাসুদ আহম্মেদ, কে এম জামান জুয়েল, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ প্রমুখ।







 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ