পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমজীবীরা। কাজ মিলছে, মিলছে ভালো পারিশ্রমিকও। এতে স্বস্তিতে খেটে খাওয়া এসব মানুষ। নগরী ও জেলায় বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী দৈনিক ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পেয়েছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পুরোদমে সচল হওয়ায় ঘাট, গুদাম শ্রমিক থেকে শুরু করে কুলি-মজুরের ব্যস্ততাও বেড়েছে। কৃষিখাতেও ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য চলছে। বেড়েছে কৃষি শ্রমিকের চাহিদা। আবাসন খাতসহ শ্রমঘন বিভিন্ন খাতে কাজ পাচ্ছে অগণিত শ্রমিক। এ অঞ্চলের শ্রম বাজার এখন তাই দারুণ চাঙ্গা। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নির্মাণ এবং কৃষি শ্রমিক হিসেবে শ্রম দিচ্ছেন।
করোনার কারণে টানা লকডাউনে কঠিন সময় পার করেছে শ্রমজীবীরা। দিন এনে দিন খাওয়া লোকজনকে পড়তে হয় মহাবিপাকে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কাজ ফিরে পেয়ে খুশি এসব খেটে খাওয়া মানুষ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে আসা শ্রমিকেরা চাহিদা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছেন। আয়ের একটা অংশ পাঠাচ্ছেন গ্রামে। এতে তাদের পরিবার সুখে-শান্তিতে রয়েছে।
শ্রমজীবী মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রম বাজার এখন চাঙ্গা। নগরীর স্টিল মিল বাজার, দেওয়ানহাট, চকবাজার, কালামিয়া বাজার, বহদ্দারহাট, অলঙ্কার মোড়, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন সকালে বসে শ্রমিকের হাট। সেখান থেকে লোকজন তাদের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়ে যায়। শ্রমজীবীরা বলছেন, এখন কাজ বেশি থাকায় কোন শ্রমিককে হাটে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় না। ঠিকাদারের লোকজন তাদের নিয়ে যাচ্ছেন কাজে। কাজ বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকের চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা সামাল দিতে কোন কোন প্রকল্প এলাকায় রাতেও শ্রম দিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এতে আয়ও দ্বিগুণ হচ্ছে তাদের।
নগরীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সিডিএ’র পানিবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প, চট্টগ্রাম দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি সড়ক সম্প্রসারণ কাজ চলছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পাইপ লাইন স্থাপন প্রকল্পও পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পে হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ কাজের সুযোগ পেয়েছে।
দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমজীবীরা এসব প্রকল্পে কাজ করছেন। কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটে ঘাট শ্রমিকরাও এখন দারুণ ব্যস্ত। আমদানি-রফতানি পুরোদমে সচল হওয়ায় নগরীর মাঝিরঘাট, সদরঘাট, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘাট শ্রমিক এবং গুদাম শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততাও বেড়েছে। দেশের অন্যতম পাইকারি পণ্যের বাজার চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জে মালামাল ওঠানামার কাজে শ্রমিক এবং কুলিদের চাহিদা বেড়েছে। পণ্য ওঠানামায় ব্যস্ত তারা। সড়ক পথের পাশাপাশি চাক্তাই খাল হয়ে নৌপথেও পণ্য পরিবহন হচ্ছে। গুদাম এবং আড়ত থেকে পণ্য মাথায় করে নিয়ে নৌকায় তুলছেন শ্রমিকেরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আয়-রোজগারও বেশ ভালো।
সবজির ভরা মৌসুমে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার, স্টিল মিল বাজারসহ বড় বড় বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে আসছে সবজির চালান। ট্রাক থেকে নামিয়ে আড়তে সবজি নিয়ে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বেড়েছে। কৃষিতে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব। ধান কাটার সাথে সাথে বোরো আবাদের জন্য চলছে জমি তৈরি। শীতকালীন শাকসবজির চাষও চলছে। সব মিলিয়ে গ্রামাঞ্চলে কৃষি শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে। পরিবহন খাতের শ্রমিকেরাও এখন সুদিন পার করছে। রিকশা, অটোরিকশা, ঠেলা চালক, বাস-ট্রাক, টেম্পুর হেলপার, গ্যারেজ কর্মীরাও এখন কাজ পাচ্ছেন, আয় রোজগারও তাদের ভালো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।