পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আর্মেনিয়ার বলেছেন, আর্মেনিয়ার সেনারা হাদরুত এলাকা আবার দখল করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ শুরু করেছে। তবে হামলা অব্যাহত থাকলে আর্মেনীয় সেনাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগরনো-কারাবাখ ইস্যুতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর শেষ হয়। কিন্তু আর্মেনিয়া সে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে আজারবাইজান। এ নিয়ে আর্মেনিয়াকে কঠোর হুমকি দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ৪ সেনা নিহত হয়েছেন। জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর এই প্রথম তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলো। আজারবাইজানের পক্ষ দাবী করা হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে সম্প্রতি ফেরত পাওয়া হাদরুত এলাকায় হামলা হয়েছে। এতে ৪ সেনা মারা গেছেন। এই ঘটনার পর আর্মেনিয়াকে হুমকি দিয়ে আলিয়েভ বলেন, আর্মেনীয় সেনাদের পাল্টা জবাব দিয়েছে আজারবাইজানের সেনারা। এতে আর্মেনিয়ারও ২ সেনা নিহত হয়েছে। এদিকে আরমেনিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা নয়, বরং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আগে হামলা করেছে আজারবাইজান। এতে তাদের ৬ সেনা আহত হয়েছে। খবরে বলা হয়, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল। যার জেরে দু’দেশই যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছিল। চুক্তিতে স্থির হয়েছিল সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর যে জায়গায় অবস্থান করছে সে সেখানেই থাকবে। আর্মেনিয়া দাবি করে আজারি ফৌজ নাগরনো-কারাবাখের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, নিজেদের জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে তারা। আর্মেনিয়ার পছন্দ না হলেও রাশিয়ার অনুরোধে দেশের প্রধানমন্ত্রী চুক্তি মেনে নেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর্মেনিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে। অন্য দিকে আজারি সেনা নাগরনো-কারাবাখে নিজেদের জাতীয় পতাকা নিয়ে মার্চ করে। বিজয় উৎসবও হয়। শান্তি স্থাপনের জন্য রাশিয়ার দুই হাজার সেনা যুদ্ধ বিতর্কিত এলাকায় রয়েছে। তারপরেও সংঘর্ষ থামানো গেল না। শনিবার থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আর্মেনিয়ার সেনার দাবি, আজারি ফৌজও আক্রমণ চালাচ্ছে। তারই মধ্যে চার সেনার মৃত্যুর খবর দিয়েছে আজারবাইজান। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।