পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন এ বার যাচ্ছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। নতুন এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল একটি কৃষক সংগঠন। এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী রাখার জন্য পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক ‘জাঠ’ বা কৃষকদের দল দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগদান করছেন।
গতকাল তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। তাদের অভিযোগ, নতুন আইন কৃষকদের কর্পোরেটের সামনে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে। এই আইনকে স্বৈরাচারী বলেও দাবি করেছে বিকেইউ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের কথা না-শোনেন এবং কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা না-জানান, তা হলে দেশের বিভিন্ন অংশে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকারি তরফে নতুন কোনও বার্তা না-আসায় ‘রেল রোকো’র ডাকই জোরদার হয়। কৃষক সংগঠন জানিয়ে দেয়, দ্রæতই রেল অবরোধের দিন ঘোষণা করবেন তারা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কেন্দ্রের উপর ক্রমাগত চাপ জারি রাখার কৌশলের অন্যতম ধাপ হল এই রেল রোকোর ডাক।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা সমস্ত অহং সরিয়ে রেখে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলছি। কৃষকরা বারবার বলছেন, এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। সরকার মনে করে, আইনগুলোর যে অংশ নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে কৃষকরা মনে করছেন, সেই অংশটি নিয়ে সরকার আলোচনা করতে রাজি আছে। কৃষকরা মনে করলে আসতে পারেন।’ কৃষকদের উদ্দেশে তার বার্তা, সরকারের সংশোধনী প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে আলোচনার জন্য নতুন দিন ধার্য করুন কৃষকরা। কৃষিমন্ত্রী মোদি সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে বলেন, ‘পুরো দেশ জানে, স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট এসেছিল ২০০৬ সালে। তাতে বলা হয়েছিল, উৎপাদন মূল্য থেকে দেড়গুণ বেশি ন্য‚নতম সহায়ক মূল্য দিতে হবে। কিন্তু মোদি সরকারের আগে কোনও সরকার সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করেনি। আমার প্রস্তাব, আলোচনা যখন চলছে, তখন প্রতিবাদ বন্ধ হওয়া উচিত। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর চাষিরা আন্দোলন করলে বুঝতাম, কিন্তু এখনও তো আলোচনা চলছে।’
বৃহস্পতিবাক ময়দানে নামেন আরও এক কেন্দ্রীয় নেতা পীযূষ গোয়েল। তার বক্তব্য, ‘চাষিদের সব সমস্যার সমাধানে সরকারের পক্ষে যতটা করা সম্ভব, সরকার করেছে। চাষি ভাইদের কাছে আমার আবেদন, বাড়ি ফিরে যান, আলোচনা চলুক। আমরা কোভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়ছি, তাই চাষি ভাই ও কৃষক নেতাদের কাছে এই আবেদন। আমরা চাষিদের স্বার্থরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজস্থানের ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের চাষি ভাইয়েরা এই তিনটি কৃষি আইনের প্রশ্নে মোদি সরকারের পাশেই রয়েছেন।’ দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, কৃষকরা যতই বিক্ষোভ করুন, আইন প্রত্যাহারের চিন্তা করছে না কেন্দ্র। তারা বার বার আলোচনা এবং সংশোধনী প্রস্তাবের উপরই জোর দিচ্ছেন।
এদিকে, আন্দোলন জোড়দার করার জন্য বিপুল সংখ্যক কৃষক দিল্লি সীমান্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। বুধবার কয়েকশ নেতাকর্মী দিল্লি সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আরও অনেকে মনসা, বটিন্দা, বরনলা ও সংগ্রামুর জেলা থেকে বের হয়েছিলেন। সীমান্ত অঞ্চল সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং আত্তারি, মাজিথা, এবং জন্ডিয়ালা বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রতন সিংহ জানিয়েছেন, ‘আমাদের এই সংগ্রামকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই আমরা নতুন কৃষকদের সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।