নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জেমকন খুলনার সেরা বোলার সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভার থেকেই ৪ ছক্কায় আসে ২৬ রান। সবমিলিয়ে লড়াকু পূঁজি হলেও ইনিংস শেষে আক্ষেপ থাকারই কথা বেক্সিমকো ঢাকার। প্রথম ১০ ওভারে একশর বেশি রান করেও ২০ ওভারে মুশফিকুর রহিমের দল করতে পারে ১৭৯। রান তো হওয়ার কথা ছিল দুইশর আশেপাশে! কিন্তু সেই রানই জয়ের জন্য যথেষ্টর বেশি প্রমাণ করে ছাড়লেন রবিউল ইসলাম রবি। পাওয়ার প্লেতে, মাঝে, শেষে, সব স্পেলে উইকেট নিয়ে এই স্পিনার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপকে উপহার দিলেন প্রথম ৫ উইকেট। প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর টানা জয়রথে থেকে ঢাকা নিশ্চিত করে ফেলল শীর্ষ চারে থাকা।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনাকে ২০ রানে হারিয়েছে ঢাকা। ১৭৯ রানের জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রবির শিকার ২৭ রানে ৫ উইকেট।
হোম অব ক্রিকেটে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো হয়নি খুলনার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (২৬ বলে ২৩)। তবে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে লংঅনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওপেনার জহুরুল খেলছিলেন ভালোই। হাফসেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৩৬ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ রান তোলার পর নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দেন শর্ট থার্ডম্যানে। শামিম হোসেনও (৯ বলে ২৪) ঝড় তুলে চেষ্টা করেছিলেন হাল ধরারা। তবে নিয়মিত পতনে স্কোরবোর্ডে ১৭ রান যোগ করতেই নেই ৪ উইকেট। শেষদিকে হাসান মাহমুদ (৯ বলে ১৫*) ঝড় তুললেও সঙ্গী না থাকায় আর পেরে ওঠেনি খুলনা। রবি ছাড়া শহিদুল পেয়েছেন ২টি উইকেট।
তার আগে ঢাকার ইনিংসে একমাত্র ফিফটি অবশ্য সাব্বির রহমানের। ব্যর্থতার বলয় ছিঁড়ে তিনি খেলেন ৩৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এ ব্যাটসম্যান। সঙ্গে মোহাম্মদ নাঈম শেখ (১৭ বলে ৩৬), আল আমিন (২৫ বলে ৩৫) ও আকবর আলির (১৪ বলে ৩১) ব্যাট থেকে আসে ঝড়ো ইনিংস। তবে তারা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বলেই শেষ পর্যন্ত আরও বড় হয়নি ঢাকার স্কোর। সাকিবের এক ওভারে ৪ ছক্কাসহ ২৬ রান নেন নাঈম। নাজমুল ইসলাম অপুর এক ওভারে ৪ ছক্কা মারেন আকবর। ওই দুই ওভার থেকেই আসে ৫০ রান। বাকি ১৮ ওভারে ঢাকার রান ১২৯। সাকিব ৩ ওভারেই দেন ৩৬ রান। করেননি কোটার শেষ ওভার। আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলের ৪ ওভার থেকে আসে ৫১ রান। মাশরাফি তার চার ওভারে ২৬ রানে পান ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৭৯/৭ (নাঈম ৩৬, সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, মুশফিক ৩, আকবর ৩১; মাশরাফি ১/২৬, সাকিব ০/৩৬, শহিদুল ২/৩১, নাজমুল ১/৫১, হাসান ১/২৩, শুভাগত ১/১১)।
জেমকন খুলনা : ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ (জহুরুল ৫৩, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ২৩, মাশরাফি ১, শামীম ২৪, হাসান ১৫*; রুবেল ২/৩০, রবি ৫/২৭, নাসুম ১/২৮, শফিকুল ০/৩০, মুক্তার ২/৩৫)।
ফল : বেক্সিমকো ঢাকা ২০ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাব্বির রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।