মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ইজরাইলের সাবেক মহাকাশ নিরাপত্তা প্রধান। হাইম এশেদ নামে ওই ব্যক্তির দাবি, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আছে এবং তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগাযোগ হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ বছর ধরে ইজরাইলের মাহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার প্রধানের পদে ছিলেন এশেদ। ফলে ৮৭ বছর বয়সী এশেদের দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ইজরাইলের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এশেদ এই সাক্ষাৎকার দেন। গত শুক্রবার হিব্রু ভাষায় সাক্ষাৎকারটি প্রথম প্রকাশিত হয়। গত মঙ্গলবার ইসরাইলভিত্তিক আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম পোস্ট’ এর কিছু অংশ ইংরেজিতে প্রকাশ করার পরই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওই সাক্ষাৎকার এশেদ বলেন, ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ইউএফও মনে করে যে মানবসমাজ এখনও তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে প্রস্তুত নয়। তাই তারা এই বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন এবং এই ব্যাপারে একটা সময় তিনি ‘তথ্য প্রকাশের কাছাকাছি’ও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এমনকী এশেদের দাবি, মানুষকে আতঙ্কিত না করতেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা ট্রাম্পকে এই বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করে।
একইসঙ্গে এশেদের দাবি, ‘এলিয়েনরাও মানবসমাজ সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী।’ তবে, শুধু এলিয়েনদের সঙ্গে বৈঠক নয়, এমনকী মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে গবেষণার জন্য আমেরিকার মহাকাশচারী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এলিয়েনদের সহযোগিতা চুক্তিও হয়েছে বলে দাবি ইজরাইলের এই মহাকাশ কর্মকর্তার।
উল্লেখ্য, ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশন’ নামে ভিনগ্রহী প্রাণীদের একটি সংস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এশেদ। তার কথায়, ‘তারা মানবসমাজের বিকাশের এমন এক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছে, যেখানে আমরা সাধারণভাবেই তাদের বিষয়ে সব বুঝতে পারব।’ যদিও এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও ইজরাইলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, মহাকাশ সংস্থা নাসার এক মুখপাত্র জানান, তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য মহাবিশ্বের জীবন অনুসন্ধান। নাসা এখন পর্যন্ত কোনও ভিনগ্রহের প্রাণী খুঁজে পায়নি। যদিও আমেরিকার ‘এরিয়া ৫১’ জায়গাটি নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ‘নিষিদ্ধ’ ওই জায়গায় আমেরিকা ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। এরই মাঝে এশেদের দাবি নতুন করে জল্পনা উসকে দিল। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।