মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা তাদের টিকার ট্রায়ালের ফলাফল কোনও মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করল। ফাইজার ব্রিটেনে, স্পুটনিক ফাইভ রাশিয়ায়, চীনের ভ্যাকসিন বিভিন্ন বাজারে ছাড়পত্র পেলেও তারা ট্রায়ালের ফলাফল কোনও মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করেনি। উল্লেখ্য, জার্নালে প্রকাশ করার আগে ট্রায়ালের ফলাফল খতিয়ে দেখেন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্টই ল্যানসেটে ছাপা হয়। সেদিক থেকে বিচার করলে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ৭০ শতাংশ কার্যকর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার সম্ভাব্য প্রতিষেধক। যা মর্ডানা বা ফাইজারের ভ্যাকসিনের তুলনায় অনেকটাই কম। আবার ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বের মানুষজনের জন্য কতটা কার্যকর এই ভ্যাকসিন, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। মঙ্গলবারই মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে এই সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় দফা ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের সাফল্য নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের বাজারে এই ভ্যাকসিন আনতে চেয়ে ছাড়পত্র চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। তার আগে প্রকাশিত হওয়া এই ফলাফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন একটি মারাত্মক বিভ্রান্তি ঘটে। পরপর দু’টি সম্পূর্ণ ডোজ দেয়ার কথা ছিল। অথচ দ্বিতীয় দফায় অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ব্রাজিল, ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার একাংশে। এই তিন দেশের ট্রায়ালের রিপোর্ট এই মেডিক্যাল জার্নালে তুলে ধরা হয়েছে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনকার বিজ্ঞানীদের দাবি, দু’টি পুরো ডোজ দেয়া হলে ৬২ শতাংশের কিছুটা বেশি কার্যকরি হয়েছে সম্ভাব্য টিকা। অথচ যাদের অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের দেহে প্রায় ৯০ শতাংশ সফল হয়েছে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড। ল্যানসেটে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের দুটি সম্পূর্ণ ডোজ নেয়ার ১৪ দিন পর শরীরে গড়ে ৭০ শতাংশ প্রতিরোধ গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার বিজ্ঞানীদের দাবি, ধারাবাহিক ট্রায়ালে এই সম্ভাব্য প্রতিষেধকের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কোনও স্বেচ্ছাসেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। পাশাপাশি, এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণের প্রক্রিয়াও অনেকটা সহজ। দামও অনেকটা কম রাখা হচ্ছে বলে খবর। তবে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের পক্ষে আমেরিকা-ইংল্যান্ডের মতো দেশে মর্ডানা, ফাইজারকে টেক্কা দেয়া বেশকিছুটা কঠিন হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।