Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেলের জমি বেদখল

উদ্ধারে নেই তৎপরতা

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রেল বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃৃহত্তম সান্তাহার জংশনে রেল বিভাগের শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে দখলবাজরা। দখল করা এসব জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে মাার্কেট দোকানপাট পাকা বাড়িঘরসহ অবৈধ স্থাপনা। কতিপয় ওইসব অবৈধ দখলদার রেলের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ও বাড়িঘর বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পজিশন বিক্রির টাকা রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পকেটে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ কারণে রেল বিভাগের স্থানীয় বিভিন্ন দফতরের লোকজন দেখেও নীরব ভ‚মিকা পালন করে আসছে। রেলের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার করতে মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য নোটিশ বা মাইকে প্রচার করা হলেও রহস্যজনক কারণে পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একদিকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাসহ শত শত একর জমি বেদল হচ্ছে। অন্যদিকে ট্রেন চলাচলে ও যাত্রী সর্বসাধারণ ঝুঁকি বাড়ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং রেলের সচেতন মহল দখল হয়ে যাওয়া কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করতে রেল বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
রেল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, কিছু রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতায় রেলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহত্তম সান্তাহার জংশন স্টেশনের পাশে লেভেল ক্রসিং (রেলগেট), স্টেশন এলাকা, পরিত্যক্ত লোকোশেড, পরিত্যক্ত আখ ক্রয়কেন্দ্র, পূর্ব ও পশ্চিম কলোনি, চা বাগান, সাহেব পাড়া, ইয়ার্ড কলোনি, মালগুদাম এলাকা, ড্রাইভার কলোনি ও এর আশেপাশে গড়ে উঠেছে দোকানপাট পাকা আধাপাকা বহু ঘরবাড়িসহ শত শত অবৈধ স্থাপনা। এইসব জায়গার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় স্টেশন মাস্টার, এসএস /এ-ই, এসএস /ওয়ে, কানুনগো কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রহস্যজনক কারণে নীরব ভ‚মিকা পালন করে আসছে। এ কারণে রেলের জমিতে এসব অবৈধ স্থপনা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং দিন দিন রেলের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সকল জায়গা বেদখল হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান। রেললাইনের ভিতরে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে অবৈধভাবে স্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করায় বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
বিশেষ করে সান্তাহার জংশন স্টেশনের পার্শ্বে লেভেল ক্রসিং (রেলগেট) এবং রেল স্টেশন এলাকা ও এর আশেপাশে এলাকায় অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তেলা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এ জংশন স্টেশনের বিশাল এলাকা অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকার পরও তা উদ্ধার করা হচ্ছে না। স্থানীয় স্টেশন মাস্টার মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, রেলের জায়গায় কোন অবৈধ দখলদার থাকতে পারবে না, অচিরেই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে। এইসব অবৈধ স্থাপনা জন্য রেলওয়ে থানা ও নিরাপত্তবাহিনীকে লিখিত দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ