পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকের পর বিক্ষোভরত কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে পঞ্চম দফার আলোচনা সেরেছে ভারত সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার বিকেলের ওই বৈঠকে কৃষক প্রতিনিধিদের কাছে সরকারের তরফে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকেরা অনড় থাকলেও তা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। ভারতীয় স¤প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচিতে কৃষকের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। দিল্লির সীমান্ত জুড়ে ইতোমধ্যে অবস্থান নিয়েছে লাখ লাখ কৃষক। এই সপ্তাহে দুই দফা কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারত সরকারের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। সরকার কৃষি পণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য নিয়ে বারবার মৌখিক আশ্বাস দিলেও তা মানতে রাজি নয় কৃষকেরা। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার উভয় পক্ষের পঞ্চম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং ঠোমারসহ ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ। ওই বৈঠকের পর সরকার কৃষি আইন সংস্কারে সম্মত হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলের বৈঠকে কৃষক প্রতিনিধিদের লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং ঠোমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুষ গয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকারি প্রতিনিধিরা। বৈঠকের আগে জুনিয়র কৃষিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে কৃষকদের সন্দেহ দূর করা হবে। বিরোধীরা বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে। আশা করছি কৃষকেরা বিক্ষোভ থেকে পিছু হটবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে কৃষকরা। তারা এসেছেন মূলত ছয়টি রাজ্য থেকে-- পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, কেরালা ও রাজস্থান থেকে। মোদি সরকার স¤প্রতি কৃষি আইনে বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে। করপোরেশনগুলি কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। এই ছয় রাজ্যের কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থক্ষুণ্ণ হবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন। সুবিধা হবে বড় সংস্থাগুলির। কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিতে তাদের মনোপলি প্রতিষ্ঠা হবে। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।