মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।ট্রাম্পের ক্ষমতা ত্যাগের আগ মুহূর্তেও তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার একটি ইরানি কোম্পানি ও তার পরিচালকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেছেন, ইরানের রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে যাবে আমেরিকা। তিনি দাবি করেন, ইরান রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করতে পারলে সে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর তা প্রয়োগ করবে। -পার্সটুডে
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় ইরান বিরোধী নীতি নিয়ে চলেন এবং দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ওয়াশিংটনের অন্যায় আবদার মেনে নিতে তেহরানকে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি কংগ্রেসে দেয়া বার্ষিক ভাষণে ভিত্তিহীন অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে ইরানের সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার ভাষায়, পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং সন্ত্রাসবাদের বিস্তার থেকে ইরানকে বিরত রাখতে হবে। আমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমরাই পারি দ্রুত ইরানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে। ইরানিরা নিজেদের চাইতেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবনী গবেষণা বিষয়ক সংস্থা- সেপান্দের সঙ্গে সহযোগিতা করার দায়ে ‘শহীদ মেইসামি কমপ্লেক্স’ নামক কোম্পানি ও তার পরিচালক মেহরান বাবরির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই কোম্পানি বেসামরিক কাজে রাসায়নিক কর্মসূচি নিয়ে তৎপরতা চালায়। গত শুক্রবার সেপান্দের প্রধান ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সেপান্দের সঙ্গে শহীদ মেইসামি কমপ্লেক্স যৌথভাবে যে রাসায়নিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তার মাধ্যমে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন এমন সময় এ দাবি করলেন যখন ১৯৮০’র দশকে ইরান তার প্রতিবেশী দেশের (ইরাকের) পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে রাসায়নিক হামলার শিকার হয়েছিল। ইরান বহুবার বলেছে, রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।