বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা সঙ্কটের মধ্যেও দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর সংগ্রহে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় সোয়া ৫শ’ কোটি টাকারও বেশি আয়কর আদায় হয়েছে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৬৯৫ কোটি টাকা। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পৌনে ২শ’ কোটি টাকার মত কর আদায় হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া নতুন অর্থবছরে সরকার ঘোষিত অপ্রদর্শিত অর্থ, বাড়ি ও সম্পদের ওপর ১০% কর প্রদানপূর্বক বৈধ করার সুযোগ গ্রহণ করেছেন প্রায় ১শ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছ থেকেও প্রায় ৩ কোটি টাকার কর আদায় সম্ভব হয়েছে।
আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পরা এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি ব্যবস্থা। সেখান থেকে সামাজিক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ক্রমে সচল হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি। তবে করোনা মহামারীতে গত অর্থবছরের শেষ ৩টি মাস সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় চরম বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা এখনো অনেক ক্ষেত্রে অব্যাহত রয়েছে। বাংলা নববর্ষ কেন্দ্রিক বকেয়া আদায় ছাড়াও দুটি ঈদে এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মকান্ড ছিল শূন্যের কোঠায়। দুর্র্গা পূজাতেও বাণিজ্যিক কর্র্মকান্ড ছিল অনেকটাই স্থবির।
এখনো বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র ও কয়েকটি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সড়ক ও নৌপরিবহন ব্যবসায়ও ধস নেমেছে। এরপরেও গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর রিটার্ন দাখিল, নতুন করদাতা তালিকাভুক্তসহ কর আদায়ে প্রবৃদ্ধিকে আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন দায়িত্বশীল সূত্র। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ রিটার্ন দাখিল করেছেন। এসব রিটার্নের সাথে প্রায় ২১.২৫ কোটি টাকা কর জমা হয়েছে সরকারি কোষাগারে। তবে এখনো প্রায় সব মাঝারি ও বৃহত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়কর রিটার্ন ঢাকাতেই জমা হওয়ায় এ অঞ্চলের কর আদায়ে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে না।
২০০১-২০০২ অর্থবছরে বরিশাল কর অঞ্চল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মাত্র ২০ হাজার করদাতার কাছ থেকে আয়কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। সেখান থেকে গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় করদাতার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলে কর আদায় হয়েছে ৫২৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
যা এর আগের বছরে ছিল ৪৮০ কোটি। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে টিআইএন গ্রহণকারীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল করেছেন ৫০ হাজারের কাছাকাছি। করোনা সঙ্কটের মধ্যেও এসবকে আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক বলে দাবি করেছেন বরিশাল কর অঞ্চলের কমিশনার মো. মোস্তফা। তারমতে নতুন অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল ও কর প্রদানকারীর সংখ্যায় আরো প্রবৃদ্ধি আসবে। বাড়বে কর আদায়ও।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে কর প্রশাসন এখনো চলছে জনবল সঙ্কটসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে। বরিশাল কর অঞ্চলের ২২টি সার্কেলে মঞ্জুরিকৃত প্রায় ২৬৫ জনবলের মধ্যে প্রায় ৫০টি পদই শূন্য পড়ে আছে।
ফলে একজন কর্মকর্তাকে একাধিক সার্কেলের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। উপ-কর কমিশনার থেকে যুগ্ম কর কমিশনার সব পদেই জনবল সঙ্কট। পরিদর্শকের বিপুল সংখ্যক পদও শূন্য। দ্বীপজেলা ভোলার ৭টি উপজেলার জন্য মাত্র ১ জন ইন্সপেক্টর কর্মরত আছে।
এদিকে বরিশালে কর কমিশনারেটের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়টি গত প্রায় এক যুগ ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় এক দফতর থেকে আরেক দফতরে ঘুরছে। প্রায় ৮০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ওই ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনা কমিশনের প্রাথমিক অনুমোদনও লাভ করেনি। ফলে বরিশাল মহানগরীর একাধিক বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কর কমিশনারের অফিসগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।