পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রথম পর্বের আলোচনায় রফাসূত্র মেলেনি। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। কিন্তু তার আগে গতকাল সকাল থেকেই বিক্ষোভের তীব্রতা যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিঙ্ঘুু সীমান্তে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব থেকে আসা কৃষকরা নতুন করে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা না করলেও গাজিপুর-গাজিয়াবাদ সীমান্ত দিয়ে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তাদের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতেও দেখা যায়। বাধ্য হয়ে দিল্লিতে ঢোকার পাঁচটি রাস্তা পুরোপুরি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। কোনওরকম যানবাহন চলাচলেরও অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে, কৃষকদের বিক্ষোভের তীব্রতা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এতদিন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল করতে পারে সরকার। তা জুড়ে দেয়া হতে পারে আগামী বাজেট অধিবেশনের সঙ্গে। সরকারি সূত্র দাবি করেছিল, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করেই অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষকদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়তেই উলটো সুর শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের গলায়। কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পাঞ্জাবের সাংসদ মণীশ তেওয়ারি বলছেন, ‘কৃষকরা দিল্লিতে অবস্থান করছেন। অর্থনীতিতে সরকারিভাবে মন্দা চলছে। সরকারের যত দ্রুত সম্ভব লোকসভার অধিবেশন ডাকা উচিত’।
এদিকে, গত মঙ্গলবার এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিরোধীদের রোষের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। কৃষক বিক্ষোভ সম্পর্কে তার দাবি ছিল, ‘দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে কৃষক সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। এদের দেখে কৃষক বলে মনে হয় না। এখানে বেশিরভাগই বিরোধী দলের সদস্য এবং অনেকে আছে যারা কমিশন নিয়ে বিক্ষোভ করছে’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। আম আদমি পার্টি আবার ভি কে সিংকে প্রশ্ন করছে, তাহলে কি কৃষকদের লাঙল, বলদ সঙ্গে আনা উচিত ছিল? সূত্র : ভারতীয় মিডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।