মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চুক্তি মেনে নাগর্নো-কারাবাখের শেষ প্রদেশে পৌঁছে গিয়েছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। সেখানে তারা টাঙিয়ে দিয়েছে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা। মঙ্গলবার দেশের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘নতুন বাস্তবতা’র সূচনা হলো। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এটা উদযাপনের সময়। বহু দিন ধরে প্রতীক্ষার পর সাফল্য অর্জন করেছে আজারবাইজান।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, নাগর্নো-কারাবাখের মূল তিনটি প্রদেশ বা অঞ্চল আগদাম, লাচিন এবং কালবাজার আজারবাইজানের হাতে সমর্পন করতে হবে আর্মেনিয়াকে। আর্মেনিয়ার জনতা এই চুক্তিকে মেনে নিতে রাজি হননি। তাদের বক্তব্য, এর ফলে সমস্ত লাভই আজারবাইজানের হলো। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীও সে কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু চুক্তি বদলের আর কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এর পর থেকে আর্মেনিয়াতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। তারই মধ্যে আর্মেনিয়ার এবং নাগর্নো-কারাবাখের যোদ্ধারা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। নাগর্নো-কারাবাখের ওই তিনটি অঞ্চল ফাঁকা করে দেয়ার জন্য আর্মেনিয়াকে সময় বেঁধে দেয় আজারবাইজান। আগদাম এবং কালবাজারে আগেই ঢুকে পড়েছিল আজারবাইজানের সেনা। মঙ্গলবার তারা পৌঁছে যায় লাচিনে। সেখানে আজারবাইজানের পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়। আজারবাইজানের সেনার সঙ্গে লাচিনে পৌঁছেছিল রাশিয়ার সেনাও। কোনো গণ্ডগোল যাতে না হয়, তার জন্য এই মুহূর্তে নাগর্নো-কারাবাখে প্রায় দুই হাজার রাশিয়ার সেনা রয়েছে।
লাচিন স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। লাচিনের রাস্তা নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানীর সঙ্গে আর্মেনিয়ার যোগাযোগ স্থাপন করে। ফলে লাচিন আজারবাইজানের হাতে থাকার অর্থ, আর্মেনিয়ার সঙ্গে নাগর্নো-কারাবাখের সরাসরি যোগাযোগ পথের উপর একটি বড় বাধা। আজারি সেনা এখনো পর্যন্ত নাগর্নো-কারাবাখের যে অঞ্চলেই ঢুকেছে সেখানেই দেখেছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে সেখানকার আর্মেনীয় জনজাতির মানুষ পালিয়ে গিয়েছেন। লাচিনেও সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে। তবে সেখানে ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি থেকে গিয়েছেন। স্থানীয় মুদিখানার দোকান চালান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে মন চায়নি তার। তাই থেকে গিয়েছেন। এতদিন ধরে তিলে তিলে তৈরি করেছেন দোকান, সংসার। যদি চলে যেতে হয়, তা হলে সব কিছু পুড়িয়ে দিয়ে যাবেন। সূত্র: ডন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।