পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
(গতকাল প্রকাশিতের পর)
ছাত্রছাত্রীদের ল্যাব সুবিধাসহ আনুসঙ্গিক সুবিধাদি: সব স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের ল্যাবে বসার চেয়ার, কম্পিউটার ব্যবহারের ব্যবস্থাসহ কমন রুমে প্রায় সবার জন্য সিঙ্গেল ডেস্কের ব্যবস্থা আছে (আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সুযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এটা ভিন্ন হতে পারে)। সিঙ্গেল ডেস্কেগুলোর চারপাশে অস্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে মাথা অবধি ঘেরা। এই ডেস্কগুলোই প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর নিজস্ব সংসারের মতো। এখানে তাদের ল্যাপটপ, বই খাতা, কাগজ পত্র, খাবার দাবার থেকে শুরু করে টুকিটাকি দৈনন্দিন ব্যক্তিগত যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই দেখতে পাওয়া যায়। বড় বড় প্রতিটা রুমে ৩৫-৪০ জনের বসার ব্যবস্থা করা আছে। এসব ডেস্কে সবাই নিজ নিজ আসনে বসে আপন মনে নিজের কাজে মগ্ন থাকে এবং প্রতিটা রুমে সার্বক্ষণিক লাইব্রেরির মতো শুনশান নীরবতা বিরাজ করে। যখন কাজের চাপ থাকে তখন চীনা একজন স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীর সপ্তাহের প্রায় প্রতিটা দিন ২৪ ঘণ্টার ভিতর ১৫-১৬ ঘণ্টাই (কোনো কোনো দিন তারও বেশি) ল্যাবে সময় দিতে দেখা যায়। শুধুমাত্র রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য আবাসিক হলগুলো তারা ব্যবহার করে। আমি আমার ল্যাবের ক্ষেত্রে দেখেছি, ল্যবমেটদের খাওয়া-দাওয়া, হাসি-ঠাট্টা, বিশ্রাম নেওয়া এমনকি রাতে ঘুমানোর জন্যও ল্যাবে ইজি চেয়ারের ব্যবস্থা করা আছে। কোনো কোনো দিন তারা সারারাত ল্যাবে কাটিয়ে দেয়। সপ্তাহের সব দিনেই ল্যাবে আসায় ছুটির দিনগুলোতেও ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত থাকে।
বসার ডেস্কের ব্যাপারে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম চিত্র লক্ষনীয়। শুধুমাত্র যারা পূর্ণ অধ্যাপক তাঁদের জন্য ব্যক্তিগত বসার রুম ছাড়া বাকী শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে আকারে সামান্য বড় ডেস্কের ব্যবস্থা আছে। সেখানে অধ্যাপক থেকে শুরু করে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক সবাই একইসাথে বসেন। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ডেস্কগুলোতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফটোকপি মেশিন রাখার ব্যবস্থা আছে।
গবেষণা বান্ধব পরিবেশ: স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগ সময়ই ক্লাসে ব্যস্ত থাকে। ল্যাবের কাজে খুব বেশি চাপ লক্ষ করা না গেলেও তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষে ল্যাবরেটরিতে বেশ সময় দেয়। এছাড়া সিনিয়র স্নাতকোত্তরদের কাজে সাহায্যের ভিতর দিয়ে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের ল্যাবের কাজে হাতেখড়ি হয়। এদের গবেষণার ধরন নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। সবাই নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে চীনারা গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থানকারী দেশগুলোর কাতারে অবস্থান করছে। কে কত বেশি ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের (বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত জার্নালের পদমর্যাদা) জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করবে সেটা নিয়ে এদের ভিতর রীতিমত প্রতিযোগিতা চলে। তাই গবেষণা কাজের মানটাও নিঃসন্দেহে অনেক আধুনিক থেকে আধুনিকতর। যখন দেখি একজন মাস্টার্সের ছাত্র ৪টি পাব্লিকেশন (সবগুলো ৫ এর উপরে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর) করেও এখনো ল্যাবের কাজ ছাড়েনি তখন এদের কাছে নিজেদের অবস্থান নিয়ে একটু লজ্জায় পড়তে হয়। ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে কেউ কখনো কেমিক্যাল কেনার অভাবে বা যন্ত্রপাতির অভাবে কাজ করতে পারেনি এমনটা কখনো শোনা যায় না। কারণ, খুব সহজেই নির্দিষ্ট কেমিক্যাল হাতে পাওয়া যায়। আর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি না থাকলে সেটা পাশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কোম্পানি থেকে অল্প দিনের ভিতর নির্দিষ্ট ফিস দিয়ে করিয়ে আনা যায়।
বন্ধুবৎসল হিসেবে ছাত্রছাত্রীরা: ছাত্রছাত্রীরা প্রচুর বন্ধুবৎসল হওয়ায় এদের প্রায় সবারই নিজস্ব বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডসহ অন্যান্য অনেক বন্ধু আছে। তাই সারাদিন ল্যাবে কাজ করার পাশাপাশি মজা করে সময় কাটায়। সবারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব থাকলেও বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে সম্পর্কের ইতি টেনে চলে যায়। অর্থাৎ বিয়ে বা ঘর সংসার করবে এটা ভেবে খুব কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বন্ধু বান্ধব তৈরি করে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন গ্রুপিংয়ে বিভক্ত হয়ে আন্তঃকোন্দল, ছাত্র রাজনীতি, রাজনৈতিক কোন্দল বা দাবি আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন কখনো চোখে পড়েনি বা এগুলোর জন্য কখনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হতে দেখা যায় না।
শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্ক: শিক্ষকদের সাথে সব ছাত্রছাত্রীদের যে এত মধুর সম্পর্ক সেটা স্বচক্ষে দেখা ছাড়া বোঝানো অসম্ভব। প্রতিটা শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিজের বন্ধুর মতো আচরণ করেন। আমি দেখেছি, আমাদের ল্যাবের আনুসাঙ্গিক কোনো কাজ যেমন ল্যাবের কেমিক্যাল লেবেলিং, কেমিক্যাল ডাম্পিং বা ল্যাব পরিষ্কার, স্যাম্পল সংগ্রহের সময় আমার সুপারভাইজার আমাদের থেকে নিজেই বেশি কাজ করেন। আমরা অনেক সময় হাত গুঁটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু উনি কাজ করেই চলেন। এই বিষয়টা শুধু এখানে না অনেক বাইরের দেশেও শিক্ষকরা করেন বলে আমার জানা আছে। আমাদের যখন ল্যাব মিটিং হয় (১৫ দিনে একবার) তখন বিগত দিনের সবার কাজ উপস্থাপনা শেষে আমাদের শিক্ষক কোথায় কী ভুল ভ্রান্তি আছে সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মিটিং শেষের দিকে প্রায়ই একটা করে মজার হাসির কোনো গল্প বলে শেষ করেন, যেটার ভিতরে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থাকে, আমাদের শেষটাও অনেক আনন্দের হয়। এখানে শিক্ষকদের নিজেদের ডেস্ক, ফ্লোর পরিষ্কারসহ অন্যান্য যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করার জন্য আলাদাভাবে কোনো লোক দেখা যায় না। তাই শিক্ষকরা নিজেদের হাতেই এসব কাজ করতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন।
গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারের সুযোগ সুবিধা: গবেষণার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য সরকার গবেষক এবং ছাত্রছাত্রীদের বেশ কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে গবেষকদের বেশ কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা আছে (অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে এখন আর্থিক সুবিধা দেয়া বন্ধ করা হয়েছে)। ফার্স্ট অথর (যিনি ল্যাবের কাজ করেছেন) আর করোসপন্ডিং অথর (যিনি ল্যাবের কাজ তত্ত¡াবধায়ন করেছেন) এই সুবিধা পেয়ে থাকে। ফার্স্ট অথরের ক্ষেত্রে সেই অর্থের পরিমাণ আমাদের দেশি টাকায় ২০,০০০ টাকা থেকে এক লক্ষের উপর পর্যন্ত হতে পারে, কারণ অর্থের পরিমাণ প্রকাশিত জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের (বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত জার্নালের পদমর্যাদা) উপর নির্ভর করে। আর করোসপন্ডিং অথরের ক্ষেত্রে সেটা ফার্স্ট অথরের থেকেও দশ গুণের বেশি। ফার্স্ট অথর আর করোসপন্ডিং অথরের মূল্যায়নটা এখানে সব থেকে বেশি বিবেচনা করা হয়। এটা অবশ্য আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান, অন্যগুলোর ক্ষেত্রে হয়ত ভিন্ন হতে পারে।
গবেষণার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য যেকোন প্রতিষ্ঠানের এটা একটা বড় নিয়ামক বলে আমার মনে হয়। সেই সাথে এখানে শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যে শর্তাবলী সেটাও ভালো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ ছাড়া সম্ভব না। আমার পাশের ডেস্কে একজন শিক্ষক বসেন, ভদ্রমহিলার বয়স অনেক কম। কিন্তু ভালো মানের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য অনেক অল্প বয়সেই অধ্যাপক হয়ে গেছেন। আবার অধ্যাপক হয়ে যাওয়ার পরেও যদি কোনো শিক্ষক তার গবেষণামূলক কর্মকান্ডের নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে তার পদ থেকে নিচের গ্রেডে অবনতি হতে দেখা যায়। সেজন্য পদোন্নতির সর্বোচ্চ স্তরে গিয়েও সবাই পুরোদমে নিজেকে গবেষণামূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখেন। স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীরা প্রতিমাসে সরকারের নির্দিষ্ট স্কলারশিপের পাশাপাশি শিক্ষকরা নিজেদের রিসার্চ ফান্ড থেকে আরও কিছু আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকেন। দেশীয় টাকায় প্রতি মাসে সব মিলিয়ে একজন স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীর এই অর্থের পরিমাণ ২০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকার মতো। সেজন্য ছাত্রছাত্রীদের অন্যের ছেলেমেয়ে পড়িয়ে (টিউশন) নিজের খরচ চালানো বা অন্য কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনের চিন্তা করা লাগে না। স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদেরও কিছু স্কলারশিপের সুযোগ আছে। কিন্তু সেটা স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের থেকে বেশ কম। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে কিছু খরচ যোগান দেওয়া লাগে। আমার ল্যাবের একজন স্নাতকোত্তর ছাত্র তার বিভিন্ন স্কলারশিপ থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে যাবতীয় মাসিক খরচ বাদে প্রতিমাসে প্রায় ৩০,০০০ টাকা মতো ব্যাংকে জমা রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডাইনিং ব্যবস্থা: এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডাইনিং ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয়। আবাসিক হলগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত তিন থেকে চার তলা বিশিষ্ট ডাইনিং ভবন অবস্থিত। ভবনগুলোর প্রতিটা ফ্লোরে আছে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি করে খাবারের দোকান। দুপুরের খাবারের জন্য সকাল ১১টার পরপরই ডাইনিংগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। এই ভিড়ের পরিধি বাড়ে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের সকালের সেশনের ক্লাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে। কোথাও কোথাও শিক্ষকদের জন্য আলাদা ফ্লোরে খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সমান তালে শিক্ষকদেরও একই ডাইনিং হলে খাবার গ্রহণ করতে দেখা যায়। সবাই হাতে একটা করে ট্রে নিয়ে লাইন ধরে দোকানগুলোর সামনে বাটিতে সাজিয়ে রাখা প্রায় ১৫-২০ রকমের মেন্যু থেকে যে যার পছন্দ মতো খাবার তুলে নিয়ে প্রতিটা দোকানের কাউন্টারে গিয়ে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করে যে যার টেবিলে গিয়ে খেতে বসে।
ক্যাম্পাস বাহন ও নিরাপত্তা: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো বেশ বড় হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো থেকে ক্লাস রুম বা ডাইনিং রুম কিংবা ল্যাবে যেতে বেশ সময় লাগে। সেকথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসগুলোতে যাতায়াতের সুবিধার্থে সাইকেল, ই-বাইক, স্টুডেন্ট কোচসহ বিভিন্ন বাহনের ব্যবস্থা করে রেখেছে। সবাই বিনা পয়সায় সাইকেল ব্যবহার করতে পারলেও ই-বাইক এবং স্টুডেন্ট কোচের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু অর্থ পরিশোধের সাপেক্ষে ব্যবহারের সুযোগ পায়। এখানকার ক্যাম্পাসগুলো সবসময় নিরাপত্তার চাঁদরে ঘেরা থাকে। ক্যাম্পাসের প্রতিটা অলিগলি, ল্যাব, ক্লাস রুম, ডাইনিং রুম, আবাসিক হলগুলোর প্রতিটা ফ্লোর সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। সবার চলাচল সবসময় ক্যামেরায় রেকর্ড হতে থাকে, যাতে করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি: প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কৃত্রিমভাবে বানানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক একটি বিশাল লীলাভূমি বললেও ভুল হবে না। স্বচক্ষে অবলোকন ব্যতীত এটা বোঝানো সম্ভব নয়। ক্যাম্পাসগুলোতে একের অধিক কৃত্রিম লেক, কৃত্রিম ঝর্ণা, বড় বড় পুকুর, খেলার মাঠ, স্টেডিয়ামসহ নজরকাড়া বিভিন্ন রকমের কারুকার্যে তৈরি সুউচ্চ ভবন দেখা যায়। শুধু সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য লেকের উপর দিয়ে বানানো আছে অনেক উঁচু উঁচু কিছু ব্রিজ। পাথরে খোদাইকৃত বিভিন্ন ভাস্কর্যের কারুকার্য দেখেও অনেকের নজর কাড়ে। তাইতো ছুটির দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রের মতো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। কৃত্রিম লেকে বিভিন্ন প্রজাতির রঙ বেরঙের মাছও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এছাড়া লেকের উপর দিয়ে চলে গেছে কাঠের সুন্দর নকশা দিয়ে বানানো অনেক লম্বা লম্বা হাঁটার রাস্তা। যেগুলো দর্শনার্থীরা হেঁটে চলাসহ ছাত্রছাত্রীরা সকাল বা বিকালের হাঁটার কাজে ব্যবহার করে। (সমাপ্ত)
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজিয়ান, চীন।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।