Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এক পিৎজা কর্মীর মিথ্যা কথায় ১৭ লাখ মানুষ লকডাউনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২৪ পিএম

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এক পিৎজা কর্মীর মিথ্যাচারের ফল ভোগ করতে হচ্ছে সেখানকার ১৭ লাখ অধিবাসীকে। ওই কর্মী নিজের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য গোপন করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা ২৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আর তাদের সংস্পর্শে আসা সাড়ে ৪ হাজার জনকে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। গতকাল শুক্রবার অনেকটা বাধ্য হয়েই এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানাচ্ছে, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া অঙ্গরাজ্যে কয়দিন আগেই ৬ দিনের কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। প্রাথমিকভাবে এর প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও পরে জানা যায়, ওই পিৎজা কর্মীর মিথ্যা তথ্যের জের ধরেই এ লকডাউন জারি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যপ্রধান স্টিভেন মার্শাল জানান, স্বল্প সময়ে অত্যন্ত সংক্রামক হতে পারে এমন পরিস্থিতি ধরে নিয়েই কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লকডাউন শিথিল করা হতে পারে।
মার্শাল জানান, ওই ব্যক্তি যদি কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের সময় মিথ্যার আশ্রয় না নিত, তবে ৬ দিনের কঠোর লকডাউন জারি করার প্রয়োজন হতো না। তার সংস্পর্শে আসা সবার আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে দ্রুতগতিতে সবাইকে চিহ্নিত করে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কন্টাক্ট ট্রেসিং দলের সদস্যরা অনুসন্ধানে জেনেছেন, রাজ্যটির একটি কোয়ারেন্টাইন হোটেলে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি তিনি একটি পিৎজার দোকানেও কাজ করেন। যুক্তরাজ্য-ফেরত এক পর্যটকের মাধ্যমে তিনি আক্রান্ত হন। কন্টাক্ট ট্রেসিং কর্মীদের তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন, পিৎজার দোকানে তিনি শুধু পিৎজা কিনতেই গিয়েছিলেন। এ কারণে পরবর্তীতে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে তার দ্বারা আক্রান্তদের চিহ্নিত করার পর ধারণা করা হয়, অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত সংক্রামক এমন কোনো ভাইরাস স্ট্রেন সংক্রমণের জন্য দায়ী। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন শিফটে ওই দোকানে কাজ করতেন।
তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে ভুল তথ্য দেয়া সেই পিৎজাকর্মীর বিরুদ্ধে জরিমানা বা কোনও ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কমিশনার স্টিভেনস। বর্তমানে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত আরেক দল কর্মীকে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া, আগামী শনিবার রাতেই রাজ্যব্যাপী লকডাউন তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্টিভেন মার্শাল।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫৫৩ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে ৪ জন মারা যান। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় ২৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণ হয়, যার মধ্যে মারা যান ৯০৭ জন। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়ার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ