নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ যে কটা জায়গায় আক্ষেপের সুর তোলে তার একটি নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়া, ভারত কিংবা ইংল্যান্ডের মত দেশে নিয়মিত সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ না পাওয়া। গত বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে হারের পর বিদেশী মিডিয়াগুলো প্রশংসায় ভাসাচ্ছে বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়া সাংবাদিকরাতো এই দলটিকে নিজেদের দেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়না দেখে বেশ চটেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উপরও।
২০০০ সালে টেস্ট অভিষেক, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ প্রথম আমন্ত্রণ পায় ২০০৩ সালে। তখন কেবল হাঁটি হাঁটি পায়ে বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সেবার দুটি টেস্ট খেলার পাশাপাশি তিনটি ওয়ানডেও খেলে বাংলাদেশ। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয় ডারউইন আর কেয়ার্নসের মত আনকোরা মাঠে।
এরপর কেটে গেছে ১৬ টি বছর অস্ট্রেলিয়াতেই বাংলাদেশ সফর করেছে মাত্র একবার। তাও ছিলনা কোন টেস্ট , ২০০৮ সালের ওই তিন ম্যাচে ওয়ানডের সিরিজের সবকটি ম্যাচই হয়েছে আবারও ডারউইনেই। সবমিলিয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ১৯ বছরে মাত্র দুবার অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যায় টাইগাররা, অবশ্য মোটে দু’দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজই হয়েছে চারটি। যেখানে পূর্নাঙ্গ সিরিজ ছিল মাত্র দুটি।
টেস্টে বাংলাদেশ নাহয় পায়নি এখনও পায়ের নিচে শক্ত মাটি, কিন্তু ওয়ানডেতে ক্রমশ উন্নতি করা বাংলাদেশের সাথেও খেলতে নারাজ অজিরা। নটিংহ্যাম ম্যাচের আগে সবশেষ ৮ বছরে দু দলের ওয়ানডেতে দেখা হয়েছে কেবল ২ বার যার দুটিই ছিল আইসিসির ইভেন্টে। মাঝে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলে যায় অজিরা, তাও নানা নাটকীয়তার পর।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার দিনে দিনে নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া টিম টাইগারদের আগামী চারবছরও ঘরের মাঠে আমন্ত্রণ করছেনা অস্ট্রেলিয়া, অন্তত এফটিপি বলছে সেটাই। আর নটিংহ্যামে দুর্দান্ত লড়াই করা বাংলাদেশের প্রশংসা করতে গিয়ে অজি সাংবাদিকরা নিচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে একহাত। বাংলাদেশের মত দলকে নিজেদের মাটিতে আমন্ত্রণ না জানানোকে লজ্জা বলেও অবিহিত করছেন দেশটির সংবাদকর্মীরা।
মেরিল্ডা ফারেল নামের ইএসপিএনের অস্ট্রেলিয়ান নারী সাংবাদিক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন বৈষম্যপুর্ণ আচরণে বেশ অবাক হওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন মনোভাবকে বলছেন লজ্জার, ‘এটা বেশ আশ্চর্যজনক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কতৃক বাংলাদেশের সাথে এমন আচরণ লজ্জাজনকই বলতে হয়।’
নটিংহ্যামে ম্যাচ শেষে বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক অস্ট্রেলিয়ান জিম ম্যাক্সওয়েল এক বিশ্লেষণে বলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এ জায়গাটায় মনযোগী হওয়া উচিত। আগেরবার টেস্ট খেলতে গিয়েও যোগ্য সম্মান পায়নি টাইগাররা উল্লেখ করে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘ওরা (বাংলাদেশ) অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব বেশি সুযোগ পায়না। এ বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আরও মনযোগী হতে হবে। ১৬ বছর আগেও তারা যে দুটি টেস্ট খেলেছে তা ডারউইনে আর কেয়ার্নসের মত মাঠে হয়েছে। ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চায় এমন লোকদের জন্য এটা হতাশারই।’
চলতি বছর তিনটি টি-টোয়েন্টি ও আগামী বছর দুটি টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাচ্ছেনা অস্ট্রেলিয়ায়। এটাকে ভীষণ লজ্জার উল্লেখ করে ইংলিশ গনমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ক্রিকেট সংবাদ সংগ্রহকারী অ্যাডাম কলিন্স বলেন, ‘ অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা বেশ অন্যায় করেছে বাংলাদেশের প্রতি। এফটিপি অনুযায়ী ২০২৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছেনা বাংলাদেশ। লজ্জা! লজ্জা! লজ্জা!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।