Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাঁঠালিয়ায় স্ত্রীর মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১২ পিএম

 

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ছগির হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ছানিয়া আক্তার এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছগির হোসেনের সঙ্গে চিংড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুমা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। মাছুমা দুই সন্তান রেখে তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। অপরদিকে ছগির হোসেন তাঁর স্ত্রীকে তালাক না দিয়েই পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও ইউপি সদস্য ছগির হোসেনের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্ত্রী জেসমিন আক্তার গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে হাজির হয়ে বৃহস্পতিবার জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করে অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন কবির, শামীম আলম বাবু ও মানিক আচার্য্য।
মাছুমা আক্তারের পূর্বের স্বামী মো. জালাল আকন অভিযোগ করেন, ১৯৯৩ সালের ২৫ জানুয়ারি তাঁর খালাত বোন মাছুমাকে বিয়ে করি। পরবর্তীতে তাকে চিংড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি দেই। খুবই সুখে শান্তিতে চলছিল এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে আমাদের সংসার। কিন্তু আমার স্ত্রী ছগির হোসেনের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও উভয়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। প্রেমিক ছগির হোসেনের সঙ্গে সংসার করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে আমাকে তালাক দিয়ে প্রেমিক ছগিরকে বিয়ে করে। আমি স্ত্রীকে ফিরে পাওয়াসহ ক্ষতিপূরণ দাবিতে আদালতে একাধিক মামলা করেও কোন ফল পাইনি। প্রতারক মাছুমার জন্য আজ আমি স্বর্বশান্ত। অনেক কষ্টে তার ফেলে যাওয়া দুই সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
কাঁঠালিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন আর রশিদ বলেন, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছগির হোসনের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। সে জেল হাজতে থাকলে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাগার

৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ