Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাগার্নো-কারাবাখে মোতায়েন হচ্ছে তুর্কি সেনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৫:১৯ পিএম

আজারবাইজানের কারাবাখ অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) তুর্কি পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হয়।

আলজাজিরা জানায়, নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, নতুন করে যেন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কারাবাখে রুশ ও তুর্কি বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়।
তুর্কি সেনারা এক বছরের জন্য সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার রুশ শান্তিরক্ষী সেনাও ওই অঞ্চলে মোতায়েন আছে।
গতকাল মঙ্গলবার অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো চিঠিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘তুর্কি সেনাদের উপস্থিতি এবং যদি প্রয়োজন হয় তবে আমাদের দেশ থেকে সামরিক কর্মকর্তারাও আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির সুবিধার্থে সেখানকার জনগণ ও আমাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে থাকবেন।’
মঙ্গলবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার জানান, এ বিষয়ে আঙ্কারা ও মস্কোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজারবাইজানে তুরস্কের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কাজ সীমাবদ্ধ রাখা হবে। তুর্কি শান্তিরক্ষীরা নাগোরনো-কারাবাখে যেতে পারবেন না।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপায় ব্যবহার করে রুশ কেন্দ্রও দূর থেকে কাজ করবে।

কয়েক দশকের বিরোধে ১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে ওই সংঘর্ষ চূড়ান্ত রূপ নেয়। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সংঘর্ষে নিহত হয়।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও উভয় দলের সদস্যরাই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। যদিও অন্য দুই বিরোধী দল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি এবং দ্য গুড পার্টির সদস্যরাও এতে সমর্থন দেন।

সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য আর্মেনিয়া, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আবার আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। তুর্কি ও আজেরি রাজনীতিকরা দুই দেশের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে একটি বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। এটি হচ্ছে, ‘এক জাতি, দুই দেশ।’ দুই দেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মিল রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মূলত তুর্কি সামরিক সহায়তা নিয়ে বড় ধরনের জয় পেয়েছে আজারবাইজান। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর তাই তুরস্ক ও নিজ দেশের পতাকা নিয়ে রাজপথে নেমে আসে আজেরিরা। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আজারবাইজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ