Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে মরনফাঁদ : সড়কে নেই ডিভাইডার

হাটহাজারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৩:২২ পিএম

চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের সুলতান নসরত শাহ জামে মসজিদের সামনে উত্তর-দক্ষিণে অন্তত ৫০০ ফুট এলাকায় সড়ক বিভাজক (রোড ডিভাইডার) না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই এলাকায় গত পাঁচদিনের ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

সড়কে বিভাজক নির্মাণের দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই জায়গায় বাস চাপায় নিহত হন এক বৃদ্ধ।

নিহত হাজী মুছা সওদাগরের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদাশায়। তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন একই উপজেলার আমানবাজার এলাকায়।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্থানীয় তাজু মিয়া সওদাগর বাড়ির ইলিয়াসের ছেলে দিদার আলম ভুলু। মসজিদের সামনে রোড অতিক্রম করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হন তিনি।

এদিকে আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিনের মতো চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে হাঁটতে বের হয়েছিলেন মুছা সওদাগর। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক পার করার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম শহর অভিমুখী একটি বাস (চট্টমেট্রো-চ-১১-১৭২৮) তাকে চাপা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে অন্তত ৪০ ফুট দূরে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মুছার মৃত্যু হয়। রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকে বাসের নিচে। সকাল সোয়া ৯ টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ বাসের নিচ থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ তুলে পরিবারকে হস্তান্তর করেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে ব্যারিকেড দেয়৷ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এর আগে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ এসে অনুরোধ করলেও বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়কের অংশে ডিভাইডার স্থাপনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা শ্লোগান দিতে থাকেন। সড়কে ব্যারিকেড দেয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত শহর এবং উত্তর চট্টগ্রাম অভিমুখী শত শত যাত্রী আটকা পড়েন। অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। এসময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নারী ও শিশুরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ওসমান গনি বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের (অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী সদর) ১২ কিলোমিটার এলাকায় ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সুলতান নসরত শাহ জামে মসজিদের সামনে উত্তর-দক্ষিণে অন্তত ৫০০ ফুট জায়গায় কোনো সড়ক ডিভাইডার স্থাপন করা হয়নি। ফলে প্রতিদিন এ জায়গায় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।’

সড়ক বিভাজক কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ এ প্রতিবেদক কে বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক দুর্ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ