খাগড়াছড়ির রামগড়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে পৌর মেয়রের ছোটভাই শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় অপর ভাই জিয়াউল হক শিপন গুরতর আহত হয়েছেন। গুলিবৃদ্ধ ও আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুইজনকেই চমেকে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরহাদ কামাল।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রামগড় পৌরসভার মেয়র কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান রিপনসহ তার ভাইদের মধ্যে জমি, সম্পত্তি ও রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিন পূর্বেও এ সংক্রান্ত জেরে শাহেদ ও শিপনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে যা নিয়ে রামগড় থানায় জিডি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বক্তব্যে মতে পূর্বের বিরোধের জেরে রোববার (১৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে নয়টার দিকে কাজী শাহরিয়ার ইসলাম সাহেদের সাথে কাজী জিয়াউল হক শিপনের প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে শর্টগানের গুলিতে কাজী সাহেদ আহত হন। এ মারামারিতে আহত কাজী শিপনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে নিকটস্থ সোনাইপুল বাজার থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা গিয়ে শাহেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং পুলিশের সহযোগীতায় শিপনকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাইদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনায় আপন ছোট ভাইকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে রামগড় পৌরসভার মেয়র কাজী শাহাজান রিপনের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে পৌর মেয়র কাজী শাহজাহান রিপন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের পারিবারিকসহ রাজনৈতিক বিরোধী কতিপয় ক্ষমতালোভী কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার কাজে সব সময় লিপ্ত রয়েছে। বরং আমার দুই ভাইকে আহত অবস্থায় স্থানীয় ও পুলিশের সহযোগীতায় রামগড় হাসপাতালে পাঠাই।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শামসুজ্জামান জানান, তথ্য মতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে কার গুলিতে সাহেদ আহত এবং শিপনের মাথা ফেটে আহত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীত্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।